ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলগুলো জমে উঠলেও অভিজাত এলাকা গুলশানের চিত্র ভিন্ন। রকমারি পোশাক-আশাকে মার্কেটের দোকানগুলো পরিপূর্ণ অথচ ক্রেতা সমাগম নেই। তাই দোকানীরা এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর কিছু কাস্টমার হলেও বেচা-বিক্রি কম।
Advertisement
বুধবার সরেজমিনে গুলশানের পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, দু-একটি দোকানে ক্রেতা থাকলেও বাকিগুলোর অধিকাংশই ফাঁকা। কেবল পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স নয় অত্র এলাকার অধিকাংশ মার্কেটে এখনও শুরু হয়নি ঈদের কেনা-কাটা।
শপিং মলের ইয়োলোর বিক্রয়কর্মী ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য বার রোজার প্রথম থেকেই কাস্টমারের ভিড়ে মার্কেট সরগরম থাকতো। অদৃশ্য কারণে এবার বাজারে এখনও ক্রেতারা আসতে শুরু করেনি। তার ধারণা, কর্মজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে মার্কেটে ভিড় জমবে। ১ জুনের পর বিক্রি ভালো হবে। এছাড়া টানা কদিনের গরমের কারণে মানুষ শপিংমলমুখী হননি। গুলশান-১-এর ইয়োলো শপিংয়ের ব্যবস্থাপক ডি রোজারিও বলেন, অলস সময় কাটাচ্ছি। বিক্রি একদম ভালো যাচ্ছে না। এমন অবস্থা আর ক'দিন থাকবে জানি না। তবে আজ ক্রেতাদের আগমন সামান্য বেড়েছে। অতীত অভিজ্ঞতার থেকে ধারণা, মাসের প্রথম থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবেই।
জোয়ার সাহারা বাজার লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা জোসনা বেগম স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ঈদ বাজার করতে এসেছেন। তিনি বলেন, শুনলাম ওদিকে অনেক জ্যাম। তাই দূরে যাওয়ার চেয়ে এক মার্কেটে ঘুরে ঘুরে সবার জন্য কিনলাম। এখানকার পরিবেশও কিছুটা নিরিবিলি।
Advertisement
নীলা নামে আরেক কলেজছাত্রী বলেন, প্রতি বছর বাবা এই পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে ঈদ বাজার করে দেন। এবার বাবা ওমরা পালনে সৌদি আরব থাকায় একা আসলাম এবং দুইটা থ্রি-পিস কিনলাম। আগামীকাল আবার আসবো।
পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স এর নিচ থেকে চার তলা পর্যন্ত দেখা যায়, ঈদ কালেকশনে দোকান সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। বেশ কিছু বড় বড় দোকানে ঈদের অফার চলছে। নানা লোভনীয় অফার এসব অফারেও কাজ হচ্ছে না। তবে ঈদ মার্কেট এখনও জমে না উঠলেও রোজার শেষের দিকে ভালো ব্যবসা করবেন এম আশায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
এবার পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স এ দেশীয় পোশাকের চাইতে ভারতীয় পোশাকের যোগান বেশি। তবে দেশীয় কিছু নামী ব্র্যান্ডও তাক লাগানো অনেক ডিজাইন নিয়ে এসেছে ঈদ বাজারে। সবমিলে রোজার শেষে ভালো ব্যবসার মুখ দেখবেন এমন আশা পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স এর ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের।
আরএম/জেএইচ/পিআর
Advertisement