#ঘি’র সেমাইয়ে সয়াবিন তেল
Advertisement
#১২ লাখ টাকা জরিমানা রাজধানীর ডেমরায় ‘রস’ মিষ্টির কারখানায় অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের শুরুতেই একটু বড় পাতিলে রাখা মিষ্টিতে তেলাপোকা ভাসতে দেখেন উপস্থিত সবাই। এরপর শুরু হয় রসের কারখানায় সাঁড়াশি অভিযান। বুধবার দুপুর থেকে চলে এই অভিযান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। সঙ্গে ছিলেন র্যাব-১০ ও দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসটিআই।
সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অভিযানে রসের মিষ্টিতে তেলাপোকা আর মশার সমাহার দেখা যায়। মিষ্টি ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য তৈরি করছে অপরিশোধিত পানি দিয়ে। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি ও সেমাই তৈরি করায় কারখানাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘দুই বছর আগে এই কারখানাকে সতর্ক করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরায়নি বরং এখানে এসে আরও ভয়াবহ চিত্র দেখা গেল।’
অভিযানে দেখা যায়, রসের কারখানার ড্রামের মধ্যে নোংরা পানিতে ছানা ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতর ডালডা রাখার পাশের স্থানে জুতা ও ময়লা আবর্জনা। মিষ্টির মধ্যে অসংখ্য মশা আর তেলাপোকা।
এদিকে রসের কারখানায় লাচ্ছা সেমাই তৈরির ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সয়াবিনে ভাজা লাচ্ছা সেমাইকে ‘ঘিয়ে ভাজা’ নামে তৈরি করে প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশেই ঘি তৈরির স্থানে অসংখ্য মশা-মাছি মরে পড়ে আছে। দইয়ের বাটির পাশে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা। প্রত্যেক রুমেই জুতা স্যান্ডেল নিয়ে প্রবেশ করছে কারিগররা। নেই কোন হেয়ার ক্যাপ এবং হ্যান্ড গ্লোভস।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘ঘিয়ে ভাজা’ সেমাই বলে তারা ১ কেজি সেমাই ৭০০ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ এগুলো সয়াবিনে ভাজা, যার বাজারমূল্য মাত্র ৮০ থেকে ১২০ টাকা। এ ধরনের প্রতারণা মারাত্মক অপরাধ।
Advertisement
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশগত দিক দিয়ে ঠিক না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এআর/জেএইচ/জেআইএম