সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় হতদরিদ্র প্রান্তিক কৃষকের ১৫ একর বোরো ধান ইটভাটার ধোঁয়ায় পুড়ে গেছে। ধানের পাশাপাশি সকল ফলদ ও বাঁশঝাড়ও পুড়ে গেছে। ফসল, ফল আর বাঁশঝাড় পুড়ে যাওয়ায় উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
Advertisement
পাইকপাড়া গ্রামের স্থানীয় স্কুল শিক্ষক যুগোল কিশোর মাহাতোসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, এক বছর আগে পাইকপাড়া এলাকায় মামা-ভাগ্নে নামে একটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়। ওই সময় ফসলি জমিতে ইটভাটা স্থাপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ভাটার কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। তারপরও আদালতের আদেশ অমান্য করে ইট পোড়ানো শুরু হয়। এ অবস্থায় ফসল,গাছ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলেন ভাটা মালিক। কিন্তু ইট পোড়ানো বন্ধ করার পরও মেশিনের মাধ্যমে ভেতরের গ্যাস বের করে দেয়া হয়। এতে ভাটার উত্তর-পশ্চিম পাশের প্রায় ১৫ একর জমির বোরো ধান ও বেশ কিছু ফল গাছসহ বাঁশঝাড় পুড়ে যায়।
শিক্ষক যুগোল কিশোর আরও জানান, যদি মেশিনের মাধ্যমে ভেতরের গ্যাস ৩-৪ দিন ধরে বের করতো তাহলে তাদের ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। একদিনেই সব গ্যাস বের করে দেয়া ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের এমন ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে মামা-ভাগ্নে ব্রিকসের মালিক মাসুদ রানা বলেন, উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তারপর আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো।
Advertisement
রায়গঞ্জ উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক মন্ডল বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মাঠ পরিদর্শন করেছি। ১৫ একর বোরো ধান নষ্ট হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ভাটা কর্তৃপক্ষকে চাপ দেয়া হবে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএ/পিআর
Advertisement