জাতীয়

কালবৈশাখী ঝড়ে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন

কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে রোববার (২৯ এপ্রিল) সারা দেশে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সময় মতো লঞ্চগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। ঢাকার সদরঘাটসহ বিভিন্ন লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোও বিভিন্ন গন্তব্যে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।

Advertisement

সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির জাগো নিউজকে বলেন, যে সময়টায় কালবৈশাখী হচ্ছে সেই সময়টায় আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখছি। ঝড়ের কারণে আজ (রোববার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আবার ১২টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদফতর থেকে খবর পেয়েছি বিকেল ৩টা ও সন্ধ্যার দিকেও কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে, সে জন্য ওই সময়গুলোতেও আমরা লঞ্চ চলাচল হয়তো বন্ধ রাখতে পারি। আর নদীতে যে লঞ্চগুলো থাকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হচ্ছে।’

আলমগীর কবির বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্কতা সংকতে থাকায় আইন অনুযায়ী আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে পারছি না। সব লঞ্চই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে, তবে ঝড় চলে যাওয়ার পর তারা যাচ্ছে। এতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’

Advertisement

এদিকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকার নদী বন্দরগুলোকে ২নম্বর নৌ- হুঁশিয়ারি দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘ্ণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরএমএম/আরএস/জেআইএম

Advertisement