আসন্ন রমজানে রাজশাহীর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলেছে রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বাজার নিয়ন্ত্রণে রমজানের আগেই এ অঞ্চলের ৩৭৮ ডিলার একযোগে শুরু করবেন পণ্য বিক্রি।
Advertisement
বরাবরের মতো এবারও খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে মিলবে চিনি, তেল, ডাল ও ছোলা। সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে খেজুর। তবে এখনও পণ্য বিক্রি শুরুর দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। পণ্যের মূল্য নির্ধারণ এমনকি ডিলারদের অনুকূল্যে বরাদ্দ দেয়া হয়নি এসব পণ্য। শিগগিরই এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী টিসিবি।
টিসিবির রাজশাহী আঞ্চলিক অফিস জানিয়েছে, মাসব্যাপী পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলবে। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় ৩৭৮ জন ডিলার এসব পণ্য বিক্রি করবেন। এর মধ্যে রাজশাহী নগরীতে ৭৯ জন এবং জেলায় ২৬ জন ডিলার রয়েছেন।
এর মধ্যে রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া, রেলগেইট, সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, লক্ষ্মীপুর মোড় এবং বিনোদপুর পয়েন্টে পণ্য নিয়ে থাকবে পাঁচটি ট্রাক। এছাড়া বিভাগের প্রত্যেক জেলায় দুটি করে জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চলবে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ট্রাকে পণ্য বিক্রি হবে। বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
Advertisement
এর বাইরে বগুড়ায় ৬৬ জন, নওগাঁয় ৪৮ জন, পাবনায় ৪২ জন, সিরাজগঞ্জে ৪০ জন, নাটোরে ২৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ জন এবং জয়পুরহাটে ৭ জন ডিলার টিসিবির পণ্য পৌঁছে দেবে ভোক্তাদের কাছে। এছাড়া বিভাগজুড়ে আরো ২০ জন সমবায় ডিলারের কাছেও মিলবে টিসিবির পণ্য।
এ বছর পণ্যের মান অনেক ভালো জানিয়ে রাজশাহী টিসিবির সুপারভাইজার জামাল হোসেন বলেন, এরই মধ্যে পর্যাপ্ত পণ্যের মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। দেশি ও আমদানি করা চিনির পাশাপাশি এবারও থাকছে পুষ্টি ব্র্যান্ডের সায়াবিন তেল। থাকছে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা ছোলা ও মশুর ডাল। আর ভালো মানের খেজুর এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। তবে এখনও এসব পণ্যের বরাদ্দ দেয়া হয়নি ডিলারদের মাঝে। নির্ধারণ করা হয়নি দামও।
তিনি আরো বলেন, এ বছর এখন পর্যন্ত বাজার স্থতিশীল থাকায় এবার মূল্য কিছুটা কমতে পারে। পণ্যের মূল্য নির্ধারণসহ বিক্রির নির্দেশনা দেবে কেন্দ্রীয় দফতর। গত বছর পণ্যের মান ভালো থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ছিলো বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে টিসিবির রাজশাহী আঞ্চলিক অফিস প্রধান প্রতাপ কুমার বলেন, এবারও টিসিবির পণ্য বিপণন কঠোর নজরদারির ভেতর থাকছে। জেলা প্রশাসকের দফতর ও বাজার কর্মকর্তা আলাদাভাবে নজরদারি করবে।
Advertisement
সংশ্লিষ্ট উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দেখভাল করবেন এ কার্যক্রম। টিসিবির টিমও চালাবে কঠোর নজরদারি। পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম পেলে জড়িতদের ডিলারশিপ বাতিলসহ আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/এমএস