মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। এর বাইরে মোবাইল শিল্প বিকাশে মোট ১০টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
Advertisement
সোমবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে আগামী বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা দিয়েছে অ্যামটব। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় এনবিআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় মোবাইল অপারেটরদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় সভায় অ্যামটব মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেটের ওপর ২১.৭৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, এসডি ও সারচার্জ প্রযোজ্য রয়েছে। আগামী বাজেটে এ কর অব্যাহতির প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট মোডেমের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৪ শতাংশ ও ক্রেতার কাছে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় করা হয়। যা সম্পূর্ণরূপে মওকুফের আবেদন করছি।
Advertisement
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট ও অন্যান্য কর মওকুফের প্রয়োজন। ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট তুলে দিলে সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে। এতে অপারেটরদের আয় বৃদ্ধি এবং তথ্য প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে।
বিটিআরসির তথ্য মতে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৯৫ শতাংশ এ সেবা নিচ্ছেন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
প্রাক-বাজেট সভায় অ্যামটবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে বলা হয়, শুল্ক কমে গেলে মোবাইল অপারেটররা প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেশব্যাপী ব্যবসা সম্প্রসারণে সক্ষম হবে। ফলে পরিকল্পিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কাজ আরও বেগবান হবে।
বতর্মানে সব মোবাইল অপারেটরদের প্রতিটি সিম বা রিম বিক্রির জন্য ৩৬ দশমিক ৬৫ টাকা ভ্যাট এবং ৬৩ দশমিক ৩৫ টাকা সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়, যা সম্মিলিতভাবে সিমট্যাক্স (১০০ টাকা) নামে পরিচিত। বাইরে সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে হলে ১০০ টাকা ব্যয় করতে হয় গ্রাহককে।
Advertisement
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, বিষয়টি গুরুত্বের বিবেচনা করা হবে। এর আগে দেশে বিদ্যমান অন্যান্য ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এমএ/জেএইচ/পিআর