মনিরুল হক। প্রকাশক, অনন্যা প্রকাশন। জ্ঞান ও প্রকাশনা সমিতির নির্বাচনে নির্বাহী পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সমিতির শুরু থেকেই বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাজ করছেন প্রকাশনা সংস্থার উন্নয়নে। নির্বাচনে বিজয়, প্রত্যাশা এবং সমিতির উন্নয়ন নিয়ে মুখোমুখি জাগো নিউজ-এর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু
Advertisement
জাগো নিউজ : নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেন। অনুভূতি কি?
মনিরুল হক : ভোট বলছি না। আমি এটিকে সবার ভালোবাসা বলে মনে করছি। সমিতির সদস্যরা আস্থা রাখছেন, এর চেয়ে পরম পাওয়া আর কি হতে পারে! আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা পাচ্ছি না। প্রকাশ করাও যায় না। দারুণ অনুভূতি কাজ করছে, এটিই এখন বলতে পারি।
জাগো নিউজ : নির্বাচনের ফলাফলে কি এমনটিই প্রত্যাশা করছিলেন?
Advertisement
মনিরুল হক : হ্যাঁ, নির্বাচনের ফলাফলে এমনটিই প্রত্যাশা করেছিলাম। অনিয়মের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছি। অনিয়ম দূর করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। আমি বিগত দিনেও সমিতির দায়িত্ব পালন করেছি। গত কমিটিতেও ছিলাম। কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হচ্ছিল। নানা অনিয়মে সমিতির কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে গেছে। বিগত কমিটির কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা সবার কাছেই প্রমাণিত। প্রতিবাদ করেও প্রতিকার করতে পারিনি। সদস্যরা একটি নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। সুযোগ পেয়ে রায় দিয়েছেন।
জাগো নিউজ : আগের কমিটির অনিয়মের কথা বলছেন। চ্যালেঞ্জ তো বাড়লো তাহলে?
মনিরুল হক : অবশ্যই। যে কোনো কাজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। আর কোনো সংগঠনে দায়িত্ব পালন করতে গেলে তো চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ে। আমরা সমস্যার কথা জানি। এতদিনে সমিতিতে কি হয়েছে, তা খুব কাছে থেকে দেখেছি। এ কারণে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সহজ হবে বলে মনে করি। একটি সংগঠন চালাতে গেলে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে সেই চাপ মোকাবেলায় আমি আন্তরিক থাকবো কি-না? ভালোকে ভালো আর মন্দকে যেন মন্দ বলতে পারি, এটিই তো বড় শক্তি।
জাগো নিউজ : সমিতির উন্নয়নে বিশেষ কোনো ভাবনা আছে?
Advertisement
মনিরুল হক : স্থবির হয়ে পড়া সমিতির গতি ফিরিয়ে আনতে এবং এর সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো বলেই সদস্যরা আস্থা রেখেছেন। আমরা ২১টি পদের মধ্যে ২০টিতে নির্বাচিত হয়েছি। এটি তো একটি বড় অর্জন। ভোটের এ ফলাফল একটি মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। দায় আরও বেড়েছে। আমরা বিশেষ কোনো প্রতিশ্রুতি দিইনি। নিজের ভাবনা বলতে কিছু নেই। সবার ভাবনাই আমার ভাবনা। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করবো। গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতেই আমাদের সব ভাবনা। আর এর মধ্য দিয়েই সমিতির সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে বিশ্বাস করি।
জাগো নিউজ : সমিতির সদস্য ফি বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। ফি কমানোর পরিকল্পনা আছে কি-না?
মনিরুল হক : নির্বাচনের আগে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। প্যানেলের সবাই ফি কমানোর ব্যাপারে আন্তরিক। কয়েক বছরে ফি যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তা অস্বাভাবিক বলে আমরা মনে করি। ত্রিশ হাজার টাকা সদস্য ফি হতে পারে না। যৌক্তিক জায়গায় ফি কমিয়ে আনা হবে।
জাগো নিউজ : প্রকাশনার মান উন্নয়নে কি বলবেন?
মনিরুল হক : প্রকাশনার মান উন্নয়নে শুরুর দিকে কাজ হয়েছিল। গত তিন বছরে এ নিয়ে আর কোনো কাজ হয়নি। নবনির্বাচিত সভাপতি এ ব্যাপারে আন্তরিক। সেমিনার, কর্মশালা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রকাশনার মান উন্নয়ন করতে পারবো বলে মনে করি। প্রকাশনার মান উন্নয়ন প্রকাশকদেরই দায়। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক এবং মানসম্পন্ন প্রকাশনা তুলে ধরতেই জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতির সৃষ্টি। আমরা এ দায় উপলব্ধি করেই এগিয়ে যাওয়াার চেষ্টা করব।
এএসএস/এএইচ/আরআইপি