আন্তর্জাতিক

‘হারানো মর্যাদা ফিরে পেতেই ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী হামলা’

সিরিয়ায় ভোরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর অভিযানের লক্ষ্য ছিল ওয়াশিংটনের ‘হারানো মর্যাদা’ ফিরে পাওয়া। তিন দেশের সামরিক হামলার পর ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান আলাদ্দিন বোরোজার্দি এ মন্তব্য করেছেন।

Advertisement

সিরিয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গত সপ্তাহে আসাদ বাহিনীর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে শনিবার দেশটিতে হামলা চালায় ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী জোট।

ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কমিশনের এ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের আগ্রাসনের নিন্দা করছে ইরান।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হারানো গৌরব রক্ষার লক্ষ্যেই সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে পশ্চিমা জোট।’

আলাদ্দিন বোরোজার্দি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী তিন সদস্য এই আগ্রাসন চালিয়েছে। তবে এটা লজ্জাজনক যে, বিশ্ব নিরাপত্তার ধারক-বাহকের দাবিকারীরাই বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট তৈরি করেছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সমর্থিত বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ এনে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী সামরিক বাহিনী।

সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রাগার ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করে অভিযানকে সফল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে এই অভিযানকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এক রাতের ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসী হামলা তিনটি লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।

গত সপ্তাহে দৌমায় রাসায়নিক হামলার ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের কূটনৈতিক রুম থেকে টেলিভিশনে ভাষণ দেন ট্রাম্প। এসময় তিনি বলেন, এটা একজন মানুষের কর্ম নয়। তারা ভয়াবহ অপরাধ করছে।

সিরিয়ায় পশ্চিমা জোটের হামলা শুরুর ৯০ মিনিটের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রকে ওই হামলার জন্য ভয়াবহ পরিণতি বহন করতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে রাশিয়া।

Advertisement

সূত্র : তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সি।

এসআইএস/এমএস