প্রায় নয় বছর হতে চললো বড় দলগুলো পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে না। অজুহাত একটাই, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা। পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ মনে করছেন, এবার আর দলগুলো নিরাপত্তা নিয়ে অজুহাত তুলতে পারবে না, তোলার উপায়ও নেই।
Advertisement
গত এক বছরে পাকিস্তান অনেক বড় বড় ম্যাচ আয়োজন করেছে, তাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই শহর লাহোর আর করাচিতে। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল বলুন কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ, কোনোটিতেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।
পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ মনে করছেন, এটা এখন প্রমাণ হয়ে গেছে তাদের দেশ এখন সবার জন্য নিরাপদ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির পর তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না, পাকিস্তানে না আসার জন্য কেউ আর অজুহাত দেখাতে পারবে। আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ (ডেড রাবার হয়ে গিয়েছিল) হওয়ার পরও মাঠে দর্শকের উপস্থিতি ছিল বিশাল। করাচির মানুষ দেখিয়েছে, পাকিস্তানে ক্রিকেট হতে পারে। তাই কোনো দলের আর পাকিস্তান সফরে অজুহাত থাকার কথা নয়।’
পিএসএল ফাইনাল আর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজই নয়। মাস কয়েক আগে বিশ্ব একাদশের ব্যানারে একটি দল পাকিস্তান থেকে খেলে গেছে। শ্রীলঙ্কা দলও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে পাকিস্তানে। সরফরাজ আহমেদ মনে করছেন, তাদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরবে খুব শিগগিরই, ‘আইসিসির বিশ্ব একাদশ পাকিস্তানে এসেছে, পিএসএলের ফাইনাল হয়েছে, তার আগে শ্রীলঙ্কাও খেলে গেছে। তাই আমি আশা করব, কোনো দল আর ভবিষ্যতে নিরাপত্তাকে অজুহাত বানাবে না। এই বছর কিংবা আগামী বছর, (আন্তর্জাতিক) ক্রিকেট পাকিস্তানে ফিরবে।’
Advertisement
নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ স্টুয়ার্ট ল। তিনিও মনে করছেন, পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরা উচিত, ‘আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় ভক্ত। সমর্থকরা দারুণ। তারা আমাদের প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধাশীলও ছিল। যেখানেই গিয়েছি, তারা ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা দারুণ, আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের উচিত পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে সাহায্য করা।’
এমএমআর/আরআইপি