ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সবজির দামে ছেদ পড়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগেই। দুই-একটি বাদে সব সবজির দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। আগের সপ্তাহের মতোই এখনও অধিকাংশ সবজি প্রতি কেজি ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া এবং খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সব থেকে বেশি দাম বাড়ে শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি, টমেটো ও শিমের। এই সবজিগুলোর সেই বাড়তি দাম এখন আর নেই।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। পাতাকপিও পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। শিম আগের সপ্তাহের মতোই ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরের মধ্যে।
Advertisement
গত সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শালগম (ওলকপি)। এছাড়া বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এই পণ্যটির দাম ছিল ৮০ টাকার বেশি। এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। এখনও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা মোল্লাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ি মো. সালাম বলেন, আমরা আড়ত থেকে এখন কম দামে পেঁয়াজ আনতে পারছি। সে কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এখন বাজার নতুন পেঁয়াজে ভরপুর, তাই দাম কমে গেছে।
কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, ভাল মানের দেশি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি হচ্ছে। আর সব থেকে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
Advertisement
এদিকে কারওয়ানবাজারে এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ি বলেন, এখন আর এক কেজি মরিচ কিনতে ১০০ টাকা খরচ হয় না। এখন ১০০ টাকা দিয়ে এক পাল্লা মরিচ কেনা যায়। মূলত বাজারে মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম এতো কম।
সবজি, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের এমন দামে স্বস্তি প্রকাশ করে খিলগাঁও তালতলায় বাজার করতে আসা গৃহিনী সালমা খাতুন বলেন, কিছুদিন আগে তো সব সবজির দামই বেড়েছিল। আমরা মনে করছিলাম দাম আর কমবে না। তবে এখন দেখছি দাম কমেছে। সবজির দাম এমন থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা সবজি খেয়ে কিছুটা শান্তি পাবে।
দাম কমার বিষয়ে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, বাজার এখন বিভিন্ন ধরণের সবজিতে ভরপুর। যে কারণে দাম কম। তবে যেসব সবজির সরবরাহ কম তার দাম চড়া। যেমন- পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৫০ টাকা। আশা করছি এসব সবজির দামও কমে যাবে।
এমএএস/এমএমজেড/এমএস