২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও সাইবার হামলার অভিযোগে ১৯ রুশ ব্যক্তির ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে ১৩ জনকে গত মাসে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার অভিযুক্ত করেছিলেন।
Advertisement
ওয়াশিংটনে এ ঘটনার বিষয়ে বলা হচ্ছে, মস্কোর বিরুদ্ধে নেয়া ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া এটিই সবচেয়ে শক্ত পদক্ষেপ।
রাশিয়া বলছে, তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
অবরোধে যেসব প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে তার মধ্যে রুশ মিলিটারি ইন্টিলেজেন্স এজেন্সি জিআরইউ রয়েছে।
Advertisement
এ ছাড়া সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক একটি ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সিকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ছড়ানোর নকশা করার অভিযোগ রয়েছে।
এই এজেন্সি চালান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন নামে এক প্রভাবশালী। তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের আরও ১২ জনকে এই অবরোধের আওতায় আনা হয়েছে।
এই ১৩ জনকেই ফেব্রুয়ারিত অভিযুক্ত করেছিলেন রবার্ট মুলার; ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ রয়েছে, তার তদন্ত করছেন মুলার।
মার্কিন অবরোধের আওতায় রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) ও এর ছয় কর্মকর্তা সাইবার হামলার জন্য জরিমানার মুখে পড়বেন।
Advertisement
সরকারি রুশ কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীরা যুক্তরাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে যেসব কাজ করে থাকেন সেগুলো থামাতে আরও অবরোধ আসছে।
তবে কবে নাগাদ জরিমানা করা হবে সে বিষয়ে এখনই কিছু জানা যায়নি।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্র মন্ত্রী সার্জেই রেইবকভ বলছেন, নতুন অবরোধের খবরে মস্কো মাথা গরম করছে না। তবে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে প্রিগোশিন আরআইএ নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, আমার ওপর আগেও তিন থেকে চারবার অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। আমি গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছি, আমি আর মনে রাখতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্রে আমার কোনো ব্যবসা নেই, কোনো মার্কিন নাগরিকের সাথেও আমার কোনো ব্যবসা নেই। এ নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। আমি শুধু এখন থেকে ম্যাকডোনাল্ডসে আর যাব না।
এনএফ/এমএস