নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জীবিত ১৯ যাত্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
সোমবার সন্ধ্যায় ইউএস-বাংলার অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ।
জীবিত উদ্ধার ১৯ যাত্রী হলেন- ইমরানা কবির হাসি, পিঞ্চি ধামী, সামিনা বয়ানজাংকার, কবির হোসেন, মেহেদী হাসান, রেজওয়ানা আব্দুল্লাহ, স্বর্ণা সৈয়দা কামরুন্নাহার, শাহরিন নাহার, মো. শাহীন বেপারী, কিশোর ত্রিপাঠী, হরি প্রসাদ সবেদী, ডায়ারান তাম্রাকার, কেশাব পান্ডে, বসন্ত বহুরা, আশিষ সঞ্জিত, বিনোদ রাজ পাডিয়াল, দিনেশ হুমাগেইন, রেজাউল হক ও সোনম শাক্য।
এর আগে বিমান দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জানিয়েছিলেন বিমানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। দুর্ঘটনায় আহতদের নেপালের ৪টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
এদিকে নেপাল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে নেপালের পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নুপেন প্রাথমিকভাবে ৪০ জনের প্রাণহানির তথ্য জানিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ৯ জন মারা গেছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’
Advertisement
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে আগুন ধরে যায়।
নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, বিমানটির পাইলটকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে পাইলট। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি।
বিমান বিধ্বস্তের পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধাকারী দল, সেনাবাহিনী ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছায়। বিমাবন্দরের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানটি বিধ্বস্তের আগে আকাশে কাঁপতে শুরু করে।
এআর/আরএম/জেএইচ/আরআইপি