এক ম্যাচে সর্বোচ্চ কতটি লাল কার্ড হতে পারে? ৩টি, ৪টি? নাহ! এমনটা ভাবলে ভুল ভাববেন। ফুটবলের আঁতুড়ঘর নামে পরিচিত, লাতিন আমেরিকান পাওয়ার হাউজ ব্রাজিলেই একটি ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, রেফারি বাধ্য হয়ে ১০টি লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত খেলার ১১ মিনিট বাকি থাকতেই সেই খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন রেফারি।
Advertisement
তবে লাল কার্ডের সংখ্যা ৯টি না ১০টি- তা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। কারণ, ইএসপিএন, স্কাই স্পোর্টস লিখেছে লাল কার্ড ৯টি এবং বিবিসি লিখেছে লাল কার্ড ১০টি। তবে যাই হোক, ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক ঘটনা যে ঘটলো ব্রাজিলে, সেটা তো অনুস্বীকার্য।
বাহিয়া রাজ্যে ডার্বি ম্যাচ ছিল এটি। বাহিয়া এবং ভিতোরিয়ার মধ্যে। প্রথমার্ধেই ৬ বার লাল কার্ড বের করতে হয়েছিল রেফারি জেইলসন মাচেদো ডি ফ্রেইটাসকে। তবুও দ্বিতীয়ার্ধে খেলা গড়ায়। তবে ৭৯তম মিনিটে ভিতোরিয়ার উইলিয়ানো কোরিয়াকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। যার তুমুল বিরোধিতা করে অনেকটা মারমুখি হয়ে ওঠেন ভিতোরিয়ার ব্রুনো বিসপো। যে কারণে, তাকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি।
শেষ পর্যন্ত খেলাই বন্ধ করে দেন রেফারি। কারণ, টুর্নামেন্টটির বাইলজের ৫৬তম ধারায় বলা আছে, কোনো দলের খেলোয়াড় ৭ জনের কম হলে সেই খেলা চার পরিচালনা করা যাবে না। দুই দলেরই মোট ৫জন করে খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানো হয়। মোট আটজনকে দেখানো হয়েছিল হলুদ কার্ড।
Advertisement
প্রথমার্ধে ৬টি হলুদ কার্ড এবং ডেনিলসনের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ করে ভিতোরিয়া। তবে, খেলার ৫০তম মিনিটের সময় পেনাল্টি পায় বাহিয়া। ভিনিসিয়াস স্পট কিক থেকে গোল করে স্বাগতিক ভিতোরিয়া সমর্থকদের সামনে গিয়ে বাজে অঙ্গভঙ্গি করে নাচতে শুরু করে। এরপরই মূলত গন্ডগোলের সূত্রপাত। দুই দলের খেলোয়ড়রাই একে অপরের ওপর চড়াও হয়। শুরু হয় হাতি-হাতি, মারামারি। ঘুষি মেরে একে অপরের নাক ভেঙে দেয়ারও ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট চলে এই মারামারি। রেফারি দুই দলের মাঝে দাঁড়িয়ে যখন নিয়ন্ত্রণ আনেন, তখন তিনি মোট আটজন খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান। এরমধ্যে তিনটি দেখানো হয় ভিতোরিয়ার এবং ৫টি কার্ড দেখানো হয় বাহিয়ার খেলোয়াড়েদের। বাহিয়ার লাল কার্ড দেখা ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন গোলদাতা ভিনিসিয়াসও। তিনজন ছিল সাইডবেঞ্চে বসে থাকা ফুটবলার। যারা মারামারিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এরপরও ম্যাচ চলছিল আপন গতিতে। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার ১১ মিনিট আগে ভিতোরিয়ার আরও দুই খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি ফ্রেইটাস। এরপরই বাহিয়াকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement