রাজনীতি

ফের আলোচনায় ‘কাউয়া’

বছর না ঘুরতেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফের আলোচনায় ‘কাউয়া’। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ সিলেটে বিভাগীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল সভায় সংগঠনে ‘কাউয়া’ ঢুকছে বলে মন্তব্য করেছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

ওই সময়ে এ মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমলোচনার ঝড় ওঠে। বছর না ঘুরতে ফের ‘কাউয়া’ আলোচনা আসে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় টানানো একটি বিলবোর্ডকে কেন্দ্র করে। যদিও বিলবোর্ডে মোহাম্মদপুর বানানটি লেখা হয়েছে ‘মোহাম্মপুর’।

'দাড় কাউয়া মুক্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই' লেখা সম্বলিত একটি বিলবোর্ড চোখে পড়ে। ইতোমধ্যে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।

সিলেটের ওই সভায় ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না।

Advertisement

এরপর থেকে তার দেয়া উপাধি অনুযায়ী দলে অনুপ্রবেশকারীদের 'কাউয়া' বলে অভিহত করেন দলের ত্যাগী নেতারা। দলের তৃণমূল মনে করে, দলের মধ্যে যেসব অনুপ্রবেশকারী ঢুকে থাকে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট জরিপ হওয়া প্রয়োজন।

'কাউয়া' বলতে যারা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত, বিভিন্ন বাম দল এবং জাতীয় পার্টি থেকে দলে এসে দীর্ঘ ১০ বছরে তাদের বিপুল অর্থ ভাণ্ডার তৈরি করেছেন তাদের বোঝানো হয়ে থাকে।

এইউএ/জেএইচ/জেআইএম

Advertisement