বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস আজ (বুধবার)। এ উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনব্যাপী শুভেচ্ছা বিনিময়সহ নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।
Advertisement
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংবাদপত্রের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং জনগণের ক্ষমতায়ন পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত।
অনুরূপ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সুরক্ষা, মান নিশ্চিতকরণ, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানাবিধ কর্মপ্রয়াসের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এখন অধিকতর কার্যকর ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
Advertisement
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। সকাল ১০টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব মিলনায়তনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচাপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ কেক কেটে দিবস উদযাপনের সূচনা করবেন।
এ ছাড়া আজ ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদকপ্রাপ্তদের নাম। এ বছরই প্রথম এই পদক দেয়া হচ্ছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও মান উন্নয়নে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। ওই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। তাই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিনটিকে 'বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দিবস' হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো অনাড়ম্বরভাবে দিবসটি পালন করা হয়।
এমএমজেড/এমএস
Advertisement