অন্দর সাজ আপনার রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তাই ঘরের সাজে থাকা চাই দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিকতার ছোঁয়া। এজন্য ঘর সাজাতে কারুকাজ খচিত ফার্ণিচারের সঙ্গে থাকা চাই ঝাড়বাতি। যা আপনার ঘরের সৌন্দর্যই একধাপ বাড়িয়ে দিবে। তবে তা যেন হয় ঘরের সঙ্গে মানানসই। বসার ঘরেই ঝাড়বাতি বেশি প্রয়োজন। মাঝারি ধরনের ঘরে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝাড়বাতি ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ফুলের নকশা বা চারকোণা আকৃতির ঝাড়বাতি লাগানো যেতে পারে। আর যদি বসার ঘরটি বড় আকারের হয় তাহলে বড় ঝাড়বাতি লাগালেই ভালো লাগবে। বাড়িতে কোনো অতিথি এলে প্রথমে বসতে দিতে হয় এই ঘরটাতে। তাই এই ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোটা একটু বেশি প্রয়োজন। তবে যে ঘরে ঝাড়বাতি লাগাতে হবে সে ঘরে অবশ্যই একটু ভারি ফাুর্ণিচার থাকা চাই। কারণ সাদামাটা ফার্ণিচার থাকলে ওই ঘরে ঝাড়বাতি লাগালে খুব একটা মানানসই হবে না। ঝাড়বাতি সাধারণত হলুদ রঙের লাইট হলেই বেশি ভালো দেখায়। হলুদ আলো ঘরে একটি সুন্দর আবহ তৈরি করে। দেয়ালের রং যাই হোক, হলুদ লাইট তার সঙ্গে মানিয়ে যাবে। তবে যাদের দেয়াল সাদা বা অফ হোয়াইট, তারা চাইলে সাদা লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। দেয়াল হালকা রঙের হলে ইউনিক গ্লাসের ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন। ঘরে রোমান্টিক আলোর প্রবাহ আনতে চাইলে বাটারফ্লাই মোটিফের ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি হবে যুতসই। আকার অনুযায়ী ঝাড়বাতির দরদামে ভিন্নতা রয়েছে। হ্যাঙ্গিং ঝাড়বাতি পাওয়া যাবে এক হাজার তিন হাজার টাকার মধ্যে। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন আকারের ক্রিস্টালের ঝাড়বাতির দাম পড়বে ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। কাঁচের সঙ্গে কাঠ কিংবা মেটালের সংযোজনে বিভিন্ন আকারের ঝাড়বাতি পাবেন আট হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায়। সিলিং ঝাড়বাতি পাঁচ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। রাজধানীর নিউমার্কেট, পল্টন, গুলশান ১-, বনানী, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গাতে পাবেন এসব ঝাড়বাতি।
Advertisement