ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের জন্য ১৬ সদস্যের দল ছিল বাংলাদেশের। পরের ম্যাচগুলোর জন্য এই সদস্য সংখ্যা কমিয়ে ১৫ জন করা হয়। দল থেকে বাদ পড়েন ওপেনার ইমরুল কায়েস। আগামী ২৭ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের জন্য আবারও দলে ফেরানো হয়েছে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।
Advertisement
১৬ সদস্যের দলে থাকলেও প্রথম দুই ওয়ানডেতে জায়গা পাননি ইমরুল। পরের দুই ওয়ানডেতে দল থেকেই ছেঁটে ফেলা হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। বলা হচ্ছিল, তার ফিটনেস লেভেল সন্তোষজনক নয়। তবে ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে আবারও ইমরুলের ফেরা বুঝিয়ে দিচ্ছে অনেক কিছুই।
ইমরুলের সুযোগ না হওয়ায় চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে সব কটি ম্যাচেই তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করেছেন এনামুল হক বিজয়। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে চারটি ম্যাচ সুযোগ পেয়েও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি এই ওপেনার। প্রথম দুই ওয়ানডেতে তবু ১৯ আর ৩৫ রান করেছিলেন। শেষ দুই ম্যাচে করেছেন ১ আর ০।
বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ যে ম্যাচটি বড় লজ্জা নিয়ে শেষ করেছে বাংলাদেশ, সে ম্যাচটিতে একেবারে কান্ডজ্ঞানহীন এক শট খেলে আউট হয়েছেন বিজয়। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে শরীর না এগিয়ে ব্যাট চালানোয় তার টেকনিক নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
Advertisement
ইমরুল কায়েস দলে ফেরায় ধরেই নেয়া যাচ্ছে, বিজয়ের সুযোগ ফুরোচ্ছে। দলে থাকলেও ফাইনালে তার একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সেক্ষেত্রে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে পরীক্ষিত পারফরমার ইমরুলকে।
ওপেনিংয়ে তামিমের সম্ভাব্য সঙ্গী হিসেবে নাম আসছে মোহাম্মদ মিঠুনেরও। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে ইমরুলকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে। মোহাম্মদ মিঠুন এমনিতেও ১৫ সদস্যের দলে ছিলেন। আলাদা করে ইমরুলকে নেয়ায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, ফাইনালে তামিমের সঙ্গী হিসেবে অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দেবেন নির্বাচকরা।
ফাইনালের জন্য ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল হাসান রাজু, সানজামুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং ইমরুল কায়েস।
এআরবি/ এমএমআর/আইআই
Advertisement