প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন নিয়ে ইসি ব্যর্থ নয়। আইনগতভাবে ইসি তফসিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আদালত যদি কারও আবেদনের প্রেক্ষিতে কিছু করে থাকে, তাহলে ইসির কিছু করার নেই।
Advertisement
বুধবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে আদালত স্থগিতাদেশের সত্যায়িত কপি কমিশন আজ (বুধবার) পেয়েছে। আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
Advertisement
তফসিল ঘোষণার সময় অনেকে বলেছিলেন, আইনি জটিলতা নিরসন না করেই ইসি তফসিল দিয়েছে-এর দায় ইসির কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ইসির তিনটি কাজ। নির্বাচন করা, তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচনের কেন্দ্র ঠিক করা। সীমানা নির্ধারণ করা, কখন নির্বাচন হবে—এগুলো ঠিক করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইসি নির্বাচন আয়োজন করে।
সিইসি দাবি করেন, ভোটার তালিকা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভোটার তালিকা সঠিক আছে। তাহলে এ জটিলতার কারণে স্থানীয় সরকার দায়ী কিনা—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকারের বক্তব্য না শুনে তিনি তাদের দোষারোপ করতে পারেন না।
জানা গেছে, বুধবার থেকে ২১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৯ মেয়াদে ১৬ জন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। সেই হিসেবে আবদুল হামিদ এ পদে সপ্তদশ ব্যক্তি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করা বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পাঁচ বছরের মেয়াদ চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। সংবিধানের ১২৩ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে ওই পদ শূন্য হইলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
Advertisement
এইচএস/এএইচ/আইআই