জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মেধাবী তরুণরাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মেধার স্বাক্ষর রাখছে- জাতি হিসেবে এটা আমাদের গর্ব। উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার পাশাপাশি সুযোগ তৈরি করে দিলে তরুণপ্রজন্ম ভবিষ্যতে সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে।
Advertisement
শনিবার ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ আয়োজিত এক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, 'এই পুরস্কার অর্জন বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য মাইলফলক। শিক্ষার্থীদের এ সাফল্য প্রমাণ করে, বাংলাদেশ শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সাফল্য একটি সিড়ি, যা বাংলাদেশকে পৌঁছে দেবে জ্ঞাননির্ভর বিশ্বে।'
স্পিকার আরও বলেন, 'বিশ্বায়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগে জ্ঞান নির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্যতা, অনুপ্রেরণা এবং কঠোর পরিশ্রমই পারে শিক্ষার্থীদের সফলতা নিশ্চিত করতে।' এ সময় তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রশংসা করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে অর্থনীতি, গণিত, পদার্থ, ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সবোর্চ্চ ফলাফল অর্জনকারী ৫৮জন শিক্ষার্থীকে ‘টপ ইন ওয়াল্ড’ ও ‘টপ ইন কান্ট্রি’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্পীকারের কাছ থেকে সনদ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সামিনেশন ডাইরেক্টার এনড্রিয়ানি পাপাপেরিসিলেয়াস। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পশ্চিম ভারত ও বৃহত্তর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ম্যানেজার সত্যজিত সরকার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের মার্কেটিং, কমউনিকেশন ও কাস্টমার বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যাড্রু কুমবে, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানসমূহের অধ্যক্ষরা।
এইচএস/এমবিআর/জেআইএম
Advertisement