দেশের পাঁচ দশকের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ডের পর আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ আর শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া উত্তরাঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলেছে অবশেষে। সকাল ৯টা থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা মেলায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
Advertisement
কয়েকদিনের কনকনে শীতের কারণে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় দুস্থ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে কয়েকগুন। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ উঠেছে চরমে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য মতে, আজ সকাল ৬টায় রংপুরে সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ৯টায় ১০.২ এবং বেলা ১২টায় ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, দিনে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকলেও রাতে তা কমে আসছে।
Advertisement
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারণে বেড়ে গেছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ। প্রতিদিন শীতজনিত রোগে শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিচ্ছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. আবদো আক্তার বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা ভর্তি হলেও এতে আতংকের কিছু নেই। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে তাদের। এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো শিশু মারা যাননি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই শীত মৌসুম এলে রোগবালাই কিছুটা বাড়ে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক জানান, এ পর্যন্ত ৫৪ হাজার শীতবস্ত্র জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে তা বিতরণ করা হবে।
Advertisement
জিতু কবীর/এফএ/পিআর