ইরানের চলমান বিক্ষোভে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির বিপ্লবী বাহিনীর আদালতের প্রধান। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস ও সরকারি আদেশ উপেক্ষার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত বিক্ষোভকারীরা যখন তেহরানের বিপ্লবী বাহিনীর ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি হবেন তখন তারা ওই শাস্তি পেতে পারেন।
Advertisement
মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিপ্লবী বাহিনীর আদালতের প্রধান হোজ্জাতুল ইসলাম মুসা কাজান ফারাবাদি বলেছেন, বিক্ষোভ শুরুর তৃতীয় দিনের পর যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হবেন।
তিনি বলেন, ‘কারণ তারা সজ্ঞানে রাস্তায় নেমেছেন এবং জনসমাবেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন।’
‘দাঙ্গার সময় প্রত্যেক দিন যারা গ্রেফতার হয়েছেন তারা সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে পড়বেন। তারা সরকারি স্থিতিশীলতা নষ্টের চক্রান্ত করেছেন।’
Advertisement
আদালত প্রধানের মতে, দাঙ্গায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে তেহরান ও অন্যান্য শহর থেকে ইতোমধ্যে যারা আটক হয়েছেন এবং যারা বিদেশি গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন; খুব শিগগিরই তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।’
দ্রব্য মূল্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার দেশটির মাশাদ শহরে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য শহরেও, রূপ নেয় রাজনৈতিক সমাবেশে। বিক্ষোভের পেছনে বিদেশি শক্তি ও বিপ্লববিরোধীদের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা অায়াতুল্লাহ আলী খামেনিবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪৫০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী।
দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে পৌঁছেছে। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে পুলিশ স্টেশন ও সেনা ক্যাম্পে সশস্ত্র প্রতিবাদকারীদের হামলার চেষ্টা প্রতিরোধ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার রাতেই ১০ জন নিহত হয়েছে।
Advertisement
এসআইএস/পিআর