দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-উত্তরবঙ্গের রেলপথ। টাঙ্গাইলের বাসাইল অংশের উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর, হাবলা ইউনিয়নের সহেরাতুল, টেঙ্গুরিয়াপাড়া, সালিনাপাড়া ও সোনালিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় রেলপথের ওপর দিয়ে যাওয়া সড়ক পথের লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকায় এসব ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। একইসঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরাও এসব লেভেল ক্রসিং পারাপার হচ্ছে। এ অবস্থায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকায় রয়েছে উপজেলাবাসী।
Advertisement
সরেজমিনে লেভেল ক্রসিংয়ে ‘এই লেভেল ক্রসিং গেটে গেটম্যান নাই, নিজ দায়িত্বে ও সাবধানে লেভেল ক্রসিং পারাপার হইবেন’ লেখা সাইনবোর্ড দেখা গেলেও অধিকাংশ লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো ধরনের নিরাপত্তা গেট বা এ জাতীয় কোনো সাইনবোর্ড নেই। এসব এলাকায় নিরাপত্তাজনিত কোনো ধরনের বাতিও নেই। বিশেষ করে দাপনাজোর এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে বড় ধরনের বাঁক থাকায় ট্রেন আসছে কিনা সংকেত পাওয়া যায় না। ফলে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে এখানে। শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে আরো বেশি সমস্যায় পড়তে হয় যাতায়াতকারীদের।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বিকাশ সরকার বলেন, দাপনাজোরে লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যাল বার ও গেটম্যান নেই। বেশ কয়েকবার এখানে ট্রেনের সঙ্গে যানবাহনের ধাক্কা লেগেছে। এখানে রেলপথে বাঁক থাকায় ট্রেন আসছে কিনা তাও দেখা যায় না। ট্রেন না দেখেই যানবাহন পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিত দুর্ঘটনা ঘটছে। বাসাইল-করটিয়ার সড়কের সোনালিয়া গেটম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বাসাইল অংশে দাপনাজোর এলাকায় লেভেল ক্রসিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ইতোপূর্বেও কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ট্রেনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে ৩ আরোহী গুরুতর আহত হন। দিনে এ রেলপথ দিয়ে ২৫-২৬ বার ট্রেন যাতায়াত করে। এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল (ঘারিন্দা) রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জালাল উদ্দিন জানান, বাসাইলের লেভেল ক্রসিংগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গেটম্যান নিয়োগ জরুরি। এ বিষয়টি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশল বিভাগ দেখাশোনা করে। তাদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/পিআর
Advertisement