প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত জমির দলিল হাতে পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। সোমবার খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসানুল হক মিয়া ক্রিকেটার মিরাজের হাতে জমির দলিলটি হস্তান্তর করেন।
Advertisement
দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, খুলনার জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসানসহ কেডিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেডিএ সূত্র জানায়, মিরাজকে নগরীর মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার এন ৪৪ নম্বরের প্লটে ৩.৬ কাঠা জমির দলিল দেয়া হয়েছে। এ প্লটের বাজারমূল্য ৫৭ লাখ টাকা। মিরাজের পরিবারের কাছ থেকে এক হাজার এক টাকা প্রতীকী মূল্য নিয়ে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে চমক দেখিয়ে দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসা ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজকে গত বছরের ৩০ অক্টোবর বাড়ি দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
দলিল হাতে পেয়ে মিরাজ বলেন, জমির দলিল পেলাম। বাড়ির কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী বাড়ি করে দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি তা রক্ষা করেছেন। আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে জমি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিরাজের বাবা জালাল হোসেন বলেন, এ উপহার পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যাদের লেখার কারণে আমাদের পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। জমি পাওয়ার পেছনে মিরাজের মামা খুলনা জেলা প্রশাসনের সাবেক এনডিসি আতিকুল ইসলাম (বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঢাকার ধানমণ্ডিতে কর্মরত) অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। তার কাছেও আমরা অনেক ঋণী।
স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, কেডিএ’র চেয়ারম্যানসহ যারা এ জমি পাওয়ার পেছনে সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান মিরাজের বাবা।
নগরীর খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি ব্লকের ৭ নম্বর প্লটের ভাড়ার টিনের ছাউনি ঘেরা বাঁশের বেড়ার ঘরে বেড়ে ওঠেন ক্রিকেট বিশ্বের আলোচিত তারকা মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের এই বাড়ি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/আরএআর/আইআই