জাতীয়

৩৫ কিলোমিটার স্কেটিং করে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় শহীদ মিনার থেকে শতাধিক স্কেটার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটার স্কেটিং করে সাভার স্মৃতিসৌধে শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।

Advertisement

শনিবার সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ফোরাম, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং সার্চ স্কেটিং ক্লাবের উদ্যোগে শহীদ মিনার থেকে ‘বিজয় স্কেটিং র্যালি-২০১৭’ শীর্ষক ব্যানার নিয়ে র্যালিটি যাত্রা শুরু করে।

সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান র‌্যালির উদ্বোধন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর সবুর, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফোরামের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সার্চ স্কেটিং ক্লাবের চেয়ারম্যান আরশাদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালির সভাপত্বিত করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জিহাদুর রহমান জিহাদ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শফিকুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয় শক্তি ছিল সাম্প্রদায়িক। কিন্তু জনগণ ছিল অসাম্প্রদায়িক। আজ বিজয়ের ৪৬ বছর পর রাষ্ট্রীয় শক্তি অসাম্প্রদায়িক হয়েছে। কিন্তু জনগণের একটি বড় অংশ সাম্প্রদায়িক ও পশ্চাৎপদ রয়ে গেছে। তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

Advertisement

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানতে এবার নবমবারের মতো বিজয় স্কেটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্কেটাররা শহীদ মিনার থেকে ৩৫ কিলোমিটার স্কেটিং করে সাভার স্মৃতিসৌধে শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

র‌্যালিতে অংশ নেয়া ঢাকার গেন্ডিরিয়া থেকে আসা আলামিন জাগো নিউজকে বলেন, আমার বন্ধু সার্চ স্কেটিংয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ওই আমাকে বলেছে শহীদ মিনার থেকে স্কেটিং করে সভার স্মৃতিসৌধে যাবে। এ কথা শুনে আমি মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানতে স্কেটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে এসেছি। এভাবে স্কেটিং করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারা আমার জন্য বিরাট পাওয়া।

সাভার থেকে আসা স্কেটার মো. সানি বলেন, আমি আগে ক্লাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। ক্লাব থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল শহীদ মিনার থেকে স্কেটিং করে স্মৃতিসৌধে যাওয়া হবে। আমি নিজের ইচ্ছায় র্যালিতে অংশগ্রহণ করছি। মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। সেই বীর শহীদদের প্রতি ব্যতিক্রমী শ্রদ্ধা জানাতে পারা আমার জন্য আনন্দের।

এমএএস/আরএস/এমএস

Advertisement