আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তদন্তে সময় বৃদ্ধিতে রাশিয়ার ভেটো

সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনার একটি আন্তর্জাতিক তদন্তে সময় বাড়াতে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিজেদের মিত্রদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এ পর্যন্ত ১০ বার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে মস্কো। খবর বিবিসি।

Advertisement

সিরিয়ায় পরবর্তী রাসায়নিক হামলা ঠেকাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপকে রাশিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ধরনের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

রাসায়নিক হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে ২০১৫ সালে জয়েন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম (জিম) প্রতিষ্ঠিত হয়। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার এটাই একমাত্র আনুষ্ঠানিক তদন্ত মিশন।

গত এপ্রিলে সিরিয়ার খান শেইখৌন শহরে নার্ভ এজেন্ট দিয়ে চালানো ভয়াবহ হামলার সিরিয়া সরকারকে দায়ী করার পর থেকে মস্কো এই তদন্তের তীব্র সমালোচনা করে আসছে। সিরীয় সরকার বরাবরই এ ধরনের রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করে আসছে।

Advertisement

নিকি হ্যালি রাশিয়ার ভেটোকে তদন্ত প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ভয়াবহ আঘাত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সবার সম্মতি থাকার পরেও তদন্ত প্রক্রিয়াকে হত্যা করেছে রাশিয়া।

তিনি বলেন, পরবর্তী রাসায়নিক হামলা ঠেকাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মস্কো। এর ফলে হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে আমাদের যে সক্ষমতা তা নষ্ট করা হয়েছে।

২০১৫ সালে জাতিসংঘ এবং রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী বিভিন্ন সংস্থা মিলে এ যৌথ তদন্ত সংস্থাটি তৈরি করে। সংস্থাটির তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এর আগে জানানো হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে তিনবার রাসায়নিক দ্রব্য ক্লোরিনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে সিরীয় সরকার।

কিছুদিন আগে রাশিয়ার একটি খসড়া সমাধান বাতিল করে দেয় নিরাপত্তা পরিষদ। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভেসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো তদন্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, কাউন্সিলের কিছু সদস্য আমাদের খসড়ায় সহায়তা করতে আপত্তি জানিয়েছে এবং এখন জিমের কার্যক্রম বন্ধের দায়িত্ব তাদেরই।

Advertisement

টিটিএন/পিআর