দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কের ইতি টানতে যাচ্ছে চীন এবং ভিয়েতনাম। বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে একমত হয়েছে দু’দেশ। চীনের এক শীর্ষ কূটনীতিক শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্স।
Advertisement
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরেই দুই প্রতিবেশির মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কৌশলগত এই জলসীমা নিয়ে বহু বছর ধরেই দু’দেশ বিবাদে জড়িয়েছে। এই জলসীমা দিয়ে বছরে তিন ট্রিলিয়নেরও বেশি কার্গো পরিবহন হয়।
দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন। এতদিন চীনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিল ভিয়েতনাম। এই সূত্র ধরেই গত অাগস্টে রাজধানী ম্যানিলায় দু’দেশের নির্ধারিত পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকও বাতিল করে হ্যানয়।
হ্যানয় এবং বেইজিং নিজেদের সম্পর্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে একমত হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি হ্যানয়ের সফরে কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত দেশ দু’টি নিজেদের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছে।
Advertisement
সামনের সপ্তাহে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার এই সফরের আগেই দু’দেশের মধ্যকার বিবাদ কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেন জিয়াও ডং। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে গভীর এবং স্পষ্ট আলোচনা রয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বিরোধ তৈরি হয়েছে বেইজিংয়ের। চীন বলছে, সমুদ্রসীমা বিষয়ে বিরোধ মেটাতে চীন এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোই যথেষ্ট।
এক সংবাদ সম্মেলনে চেন বলেন, তারা এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, যৌথ ব্যবস্থাপনার নীতিতে উভয় পক্ষই বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শ এবং সংলাপের নীতিকে সমর্থন করবে এবং সমুদ্রসীমা বিরোধ মিটিয়ে সম্পর্কের উন্নতি ও দক্ষিণ চীন সাগরের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলো দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবং অঞ্চলটির শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আরো বেশি কিছু করবে।
Advertisement
ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ফাম বিনহ মিনহ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ওয়াংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে তিনি চিন্তা-ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক আইনের ওপর ভিত্তি করে বিরোধ মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
টিটিএন/এমএস