রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ায় আল-আমিন রোডের ভাড়া বাসার গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধদের পরিবার বলছে, তাদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
Advertisement
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, দগ্ধদের নিবিড় চিকিৎসা চলছে। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তবে দুজনের অবস্থা বেশি খারাপ।
গত রোববার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর ডেমরা কোনাপাড়ার আল-আমিন রোডের একটি ভাড়া বাসায় একই পরিবারের সাতজন আগুনে দগ্ধ হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত আরিফ।
অগ্নিদগ্ধদের দাবি, বাসায় গ্যাসের চুলার লাইনে লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণ। আর সেই বিস্ফোরণের পর সবাই দগ্ধ হন। রাতের অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয়রা সোমবার ভোর ৫টার দিকে দগ্ধ আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন।
Advertisement
দগ্ধরা হলেন মো. আলমগীর (৪৫), তার স্ত্রী ফেরদৌসী (৩৫), ছেলে ঈমন (১৫), শিপন (১২), তাহসিন (২) এবং ভাতিজা তোফায়েল (২৪) ও তার স্ত্রী রত্না (১৭) এবং সাবলেট ভাড়াটিয়া আরিফ (৩৪)।
মঙ্গলবার দুপুরে দগ্ধ আলমগীরের বড় ভাই জয়নাল মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘কী করব ভাই কিছু বুঝতেছি না, গরিব মানুষ, ওদের চিকিৎসা করামু কেমনে? একসঙ্গে একটি দরিদ্র পরিবারে এভাবে দুর্যোগ নেমে আসবে ভাবা যায় না। আল্লাহ’ই জানে কী হবে।’
তিনি বলেন, দগ্ধ রত্না ও ঈমনের অবস্থা খুব খারাপ। ডাক্তাররা চিকিৎসা করতেছেন, কিন্তু বাঁচার আশা ক্ষীণ। তারা আইসিইউতে রয়েছে।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল কালাম বলেন, দগ্ধ আটজনের মধ্যে কারোরই অবস্থা ভালো নয়। চারজন বেশি দগ্ধ হয়েছে। সবারই শ্বাসনালী কম বেশি পুড়েছে। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়া ভালো নয়। চারজনকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রাখা হয়েছিল। দুজনকে সরিয়ে কেবিনে নেয়া হয়েছে। রত্মা ও ইমনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
Advertisement
জেইউ/একে/এমএস