নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন মুক্তামণির শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকলেও আজ (সোমবার) সে বিছানা থেকে ওঠে বসেছে। কথাবার্তা বলছে এবং স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারছে।
Advertisement
সারাদেশে বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন সকাল সোয়া ১১টায় জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত দু্ই তিনদিনের তুলনায় আজ (২৩ অক্টোবর, সোমবার) মুক্তামণি অনেকটা সুস্থ ও ভালো আছে। তবে তাকে এখনই বেডে দেয়া হবে না। কারণ, সে হসপিটাল অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়াতে ইনফেকশনে আক্রান্ত। সম্পূর্ণ ধকল কাটিয়ে ওঠার পরই তাকে বেডে দেয়া হবে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মুক্তামণির প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
উল্লেখ্য, মুক্তামণি গত দু’দিন যাবত আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। গতকাল (শনিবার) তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তবে নিউমোনিয়ার সঙ্গে হাতের টিউমার কিংবা অস্ত্রোপচারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। মুক্তামণির একটি ফুসফুস আগে থেকেই অকার্যকর।
এর আগে বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণির ডান হাতের রক্তনালীর টিউমার কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করা হয়। তার আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিরল চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত ৯ জুলাই জাগো নিউজে ‘লুকিয়ে রাখতে হয় মুক্তাকে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর মুক্তার চিকিৎসা দেয়ার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
এমইউ/আরএস/এমএস
Advertisement