শেরপুরের নালিতাবাড়িতে পুলিশের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতার হত্যার অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠেছে। সোমবার সকাল থেকে নালিতাবাড়ির শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরে নিহতের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করছে।
Advertisement
জানা গেছে, গতকাল রোববার নালিতাবাড়ির কাচারিপাড়া এলাকার থেকে দুই পোটলা গাঁজাসহ বিশ্বজিৎ দে (১৭) নামের এক কাঠমিস্ত্রিকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে ১১টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপের তাকে থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাত ১টার দিকে বিশ্বজিৎ মারা যায়।
মৃত বিশ্বজিৎ-এর পরিবারের দাবি, আটকের পর পুলিশ তাকে নির্যাতন করেছে। যার কারণেই বিশ্বজিৎ মারা গেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজিত জনতা নিহত বিশ্বজিতের মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করছে এবং শহরে হাবিব কমপ্লেক্সে অবস্থিত নালিতাবাড়ি থানা সার্কেল অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছে।
Advertisement
বিশ্বজিতের বোন শিউলী দে জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) সন্ধ্যার তাকে (বিশ্বজিৎ) পুলিশ ধরে নিয়ে যায় এবং পরে গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে বলে জানায়। রাত ১১টার দিকে ছাড়া পেলেও ১টার দিকে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ওঠে। পরে বাসাতেই সে মারা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকের পর পুলিশ তাকে (বিশ্বজিৎ) মেরেছে। তা না হলে আমার ভাই ভালো মানুষ, মারা যাবে কেন?’
নালিতাবাড়ি থানা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে জানান, ‘বিশ্বজিৎকে গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় গাঁজাসহ আটক করে পুলিশ। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, তার মা ও দাদার থানায় এসে ভালো পথে নিয়ে আসার আশ্বস্ত করে ছাড়িয়ে নেন। শুনেছি, রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আটকের পর পুলিশ তাকে কোনো নির্যাতন করেনি। হয়তো সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’
Advertisement
হাকিম বাবুল/আরএস/জেআইএম