খাবার সব সময় টাটকা খাওয়া উচিত। তবে অনেক সময় বেঁচে যাওয়া খাবার ফেলে দেন কমবেশি সবাই। সেক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়া খাবার অপচয় না করে সেগুলো যথাযথভাবে প্যাকেটজাত ও সংরক্ষণ করতে হবে।
Advertisement
এতে করে পরবর্তী সময়েও আপনি উদ্বৃত্ত খাবার পুনরায় গ্রহণ করতে পারবেন। তবে বাসি খাবারগুলো অবশ্যই সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
বাসি খাবার গ্রহণে সতর্কতা* সতেজ ও টাটকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। খাবারের অপচয় করা যাবে না। এমন পরিমাণে রান্না করতে হবে যাতে খাবার উদ্বৃত্ত না থাকে।* দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা রান্না করা খাবার গ্রহণ করা যাবে না।* রান্না করা খাবার এক বা দু’দিন নিরাপদ তাপমাত্রায় সংরক্ষণপূর্বক পুনরায় যথাযথ তাপমাত্রায় গরম করে খেতে হবে।* উদ্বৃত্ত খাবারের সঙ্গে উদ্বৃত্ত খাবার মেশানো যাবে না।* স্যান্ডউইচ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন- পনির, মাখন বা স্বর ইত্যাদি) সব সময় রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে, না হলে ফেলে দেওয়া ভালো।* খোলার পর ক্যানড বা টিনজাত খাবার যথাসম্ভব দ্রুত কিংবা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে।* রেফ্রিজারেটরে রাখা খোলা ক্যান বা কন্টেইনারের খাবার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই গ্রহণ করুন।
বাসি খাবার কীভাবে ব্যবহার করবেন?* রান্না করা ডালের অবশিষ্টাংশ দিয়ে সুস্বাদু রুটি বা পুরি তৈরি করতে পারেন।* রান্না করা সবজির অবশিষ্টাংশ দিয়ে প্যাটিস বানিয়ে ব্রেড স্যান্ডউইচ বা শিঙাড়া তৈরি করতে পারেন।* অবশিষ্ট ভাত পুনরায় রান্না করে ভাজা ভাত তৈরি করতে পারেন।
Advertisement
* গরম খাবার ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করতে হবে।* রান্না করা খাবার সব সময় উপরের তাকে রাখুন।* খাবারের ধরন অনুযায়ী বাছাই করে সেগুলো সংরক্ষণ করুন।* তৈরির দুই ঘণ্টার মধ্যেই খাবার গ্রহণ করতে হবে।* উদ্বৃত্ত খাবার নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ হলে তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ
জেএমএস/জিকেএস
Advertisement