ধর্ম

আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক তৈরি হয় যে নামাজে

নামাজে একাগ্রতার বাস্তব শিক্ষা রয়েছে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজে। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতে মুহাম্মাদিকে নামাজের ব্যাপারে তাঁকে অনুসরণ করার কথা বলেছেন। হাদিসে এসেছে-

Advertisement

‘তোমরা সেভাবে নামাজ আদায় কর; যেভাবে আমাকে নামাজ আদায় করতে দেখেছ। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

ইসলামের দ্বিতীয় রুকন নামাজ। যা প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য আদায় করা ফরজ। কারণ আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক তৈরি হয় নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। আর সে নামাজ হতে হবে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করা নামাজ। নামাজে একাগ্রতা থাকতে হবে।

আর পরকালে হাশরে ময়দানে আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম বান্দার নামাজের হিসাব গ্রহণ করবেন। যাদের নামাজের হিসাব সহজ হবে তাদের পরবর্তী সব কাজের হিসাবও সহজ হয়ে যাবে।

Advertisement

হাদিসের নির্দেশনা থেকে বুঝা যায় যে, যথাযথভাবে নামাজ পালনের মধ্যেই রয়েছে কুরআনের আয়াতের সঠিক বাস্তবায়ন। প্রিয়নবির মতো করে নামাজ আদায় করলে বান্দার নামাজ হবে স্বার্থক এবং সফল। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘নিশ্চয় নামাজ (বান্দাকে) সব অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’

আর নামাজ সহিহ ও সঠিক হওয়ার জন্য একাগ্রতার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। নামাজকে সঠিকভাবে আদায় করতে, নামাজে পরিপূর্ণ একাগ্রতা আনতে সবচেয়ে যে বিষয়টি জরুরি তা হলো-

‘নামাজে কুরআন থেকে যা পড়া হয়; তা হৃদয় দিয়ে উপলব্দি করা। নামাজে পঠিত সুরা এবং দোয়াগুলোর অর্থ হৃদয় দিয়ে অনুভব করা।’

Advertisement

আর নামাজ আদায় করার সময় যেসব সুরা ও দোয়াগুলো পড়া হয়; সেগুলোর অর্থ ও ভাব হৃদয় দিয়ে উপলব্দি না করার কারণেই অধিকাংশ সময় নামাজের একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটে। নামাজে মনোযোগী হওয়া যায় না। কারণ না বুঝে কোনো কাজ করলে তা যেমন গুরুত্বহীন মনে হয়। আর তাই গুরুত্বহীনতার কারণে মানুষের মনের একাগ্রতাও নষ্ট হয়।

মনে রাখতে হবেআল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি অন্তর থেকে একাগ্রতার সঙ্গে করতে হয়। নামাজে তখনই একাগ্রতা তৈরি হবে; যখন নামাজি বান্দা নামাজের শুরু হতে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে যা বলে, তা বুঝে শুনে বলে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যখন নামাজ আদায় করে, তখন নামাজে পঠিত সুরা ও দোয়াগুলো অর্থসহ জেনে বুঝে পড়া।

যখনই মানুষ নামাজে পঠিত সুরা এবং দোয়াগুলোর অর্থ বুঝতে সক্ষম হবে তখনই নামাজের মধ্যে একাগ্রতা তৈরি হবে। আর একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে নামাজ আদায় করলে তা হবে বান্দার সফলতার জন্য সুন্দর ও স্বার্থক।

নামাজসহ আল্লাহ তাআলা সব ইবাদত-বন্দেগিতে একাগ্রতা প্রকাশ করা জরুরি। আর একাগ্রতা প্রকাশ বা মনোযোগী হতে ইবাদতে পঠিত সুরা এবং দোয়াগুলো অর্থসহ বুঝে পড়া আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো পদ্ধতিতে বুঝে এবং হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। পরকালে সহজে নামাজের হিসাব প্রদানের মাধ্যমে সব কাজের হিসাব সহজে প্রদান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম