অর্থনীতি

আজও পতনে বেশিরভাগ ব্যাংক, কমেছে সূচক-লেনদেন

আজও পতনে বেশিরভাগ ব্যাংক, কমেছে সূচক-লেনদেন

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সোমবারও (১৪ জুলাই) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। এতে কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস প্রধান মূল্যসূচক কমলো।

Advertisement

প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। এরপরও কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় থাকায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু দুপুর ১২টার পর থেকে বাজারের চিত্র বদলে যায়। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। বিশেষ করে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দামে পতন হয়। ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

Advertisement

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৩টির। আর ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ১৬টি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমার বিপরীতে মাত্র ১০টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে।

এদিকে ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৮০টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ২৫টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪৬টির দাম কমেছে এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পঁচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৭টির এবং ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে ৫৬৪ কোটি ৩৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬৫ কোটি ৯৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১০১ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার। ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার নদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমা ফুড এবং মিডল্যান্ড ব্যাংক।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এমএএস/এমআইএইচএস/এমএস