দুই শিষ্যকে ধর্ষণের দায়ে আদালতের রায়ে দোষী সব্যস্ত হওয়ার পরে হেলিকপ্টারে করে ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রোহতকের কারাগারে। সহিংসতার কারণে বাইরে বের না করে সোমবার কারাগারেই বিচারপতিকে নিয়ে গিয়ে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করানো হয়।
Advertisement
সিবিআই’র বিচারপতি জগদ্বীপ সিং সাজা ঘোষণার পর রাম রহিম কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন, ‘আমি নির্দোষ। আমাকে ক্ষমা করো।’ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩০ লাখ রুপি জরিমানার রায়ের ঘোষণায় একেবারে ভেঙে পড়েন তিনি।
রোহতকের সুনারিয়া কারাগারে নেয়ার পর থেকেই এই কয়েদির নাম্বার ১৯৯৭। রায় ঘোষণার পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। পরে তাকে সাধারণ কয়েদিদের পোশাক পরানো হয়েছে।
কারাগারের একটি ছোট সেলে একাই রয়েছেন রাম রহিম। জেল আধিকারিকদের কার্যালয়ের পাশেই এই সেল। নিরাপত্তার কারণে তার সঙ্গে অন্য কোনো কয়েদিকে রাখা হচ্ছে না।
Advertisement
কারাগার সূত্রের খবর, গুরমিত কোনো কঠিন খাবার খাচ্ছেন না। রাতে শুধু পানি খেয়েই শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। সকালে উঠে দুধ খেয়েছেন। জেলের আধিকারিকদের দাবি, ধর্ষক রাম রহিম থেমে থেমেই কান্নাকাটি করছেন। কথা বলতে চাচ্ছেন না কারও সঙ্গে।
শোয়ার জন্য তাকে দু’টি কম্বল ও একটি সাদা রঙের চাদর দেয়া হয়েছে। রঙিন ঝাঁ চকচকে পোশাক নয়, তাকে পরতে হবে জেল কর্তৃপক্ষের দেয়া খাদির কুর্তা ও পায়জামা।
তার ওষুধপত্রও আসছে জেল হাসপাতাল থেকে। বাইরের ওষুধ রাখা যাবে না সেলের মধ্যে। সপ্তাহে একদিন তিনি পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে রাম রহিমকে জেলের নিয়ম মেনেই দেখা করতে হবে।
রাম রহিমের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে কী ধরনের কাজ দেয়া হবে, তা ঠিক করবে কারাগার কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
কেএ/এমএস