খেলাধুলা

চার নম্বরে খেলবেন কে?

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম টেস্টে খেলবেন কোন ১১ জন? আগামীকাল সকালে উইকেট দেখেই সব ঠিক করা হবে। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে টপ অর্ডার ব্যাটিংটা মোটামুটি চূড়ান্ত।

Advertisement

তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করবেন সৌম্য সরকার। দুই বাঁ-হাতি ফ্রন্টলাইনারের সাথে তিন নম্বর পজিসনে খেলবেন আরেক বাঁ-হাতি ইমরুল কায়েস।

এরপর চার নম্বরে ব্যাট করবেন কে? মমিনুল হককে না খেলানো হলে এই পজিশনে সত্যিকার অভিজ্ঞ ও পরিণত টেস্ট পারফরমারের ঘাটতি আছে। কারণ দীর্ঘ সময় উইকেটকিপিং করার পর মুশফিককে হয়ত এত তাড়াতাড়ি নামানো হবে না। সেটা তার ওপর বাড়তি ধকল হিসেবেই কাজ করবে।

তাহলে চার নম্বরের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে ব্যাট করবেন কে? তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। মুমিনুল খেললে আর সমস্যা নেই। বাংলাদেশের হয়ে চার নম্বরে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও ভাল ট্র্যাক রেকর্ড মমিনুলের।

Advertisement

চার নম্বরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মমিনুল হক। ওই পজিশনে ৯ টেস্ট খেলে তিন শতক ও পাঁচ অর্ধশতক সহ ৮৭৭ রান করেছেন এ ছোট-খাট গড়নের ব্যাটসম্যান। গড় সবার চেয়ে বেশি ৬২.৬৪ করে।

কিন্তু তাকে তো প্রথমে ১৪ জনের দলেই রাখা হয়নি। পরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের চোখের সমস্যার কারণে দলে ঢুকেছেন মুমিনুল। অনুশীলনেও খুব গুরুত্ব পাননি এ বাঁ-হাতি। তাই তার খেলা নিয়ে আছে রাজ্যের সংশয়।

অথচ সবার জানা, টেস্টে চার নম্বর অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ পজিশন। বিশ্বের প্রায় দলের সেরা ব্যাটসম্যানরাই চারে বেশি খেলেন। বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ও সফল উইলোবাজের তালিকায় যারা ওপরের দিকে- সেই বিরোট কোহলি, জো রুট, কেন উইলিয়মসন এবং স্টিভেন স্মিথ বেশিরভাগ সময় চার নম্বরেই ব্যাট করেন।

সেখানে বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক কিংবা সাকিব হতে পারেন সম্ভাব্য সেরা বিকল্প; কিন্তু মুমিনুলকে বাদ দেয়ার পর সেই জায়গায় খেলেছেন সাব্বির রহমান রুম্মন।

Advertisement

কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে মুমিনুলকে ড্রপ করার পর চারে ব্যাট করেন সাব্বির। যতদুর জানা গেছে এবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের একাদশে নেই মুমিনুল। তাহলে কি সাব্বির চার নম্বরে খেলবেন?

প্রেস কনফারেন্সে অধিনায়ক মুশফিকের কাছে ছুড়ে দেয়া হলো প্রশ্ন, লম্বা সময় কিপিং করে আপনার পক্ষে কি চার নম্বরে ব্যাটিং করা সম্ভব? এতে কি চাপ ও শারীরিক ধকল বাড়বে না?

অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাখ্যা, ‘এটা তো অবশ্যই একটু কষ্টকর। আপনি যদি এখন টানা কিপিং করে আসেন তারপর টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা কঠিন। এ নিয়ে আমাদের চিন্তা আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেভাবে বলেছে, চেষ্টা করবো সেভাবে করার। এটা কালকে দেখতে পারবেন আশা করি। আমি যেখানেই ব্যাট করি না কেন, আমার সব সময়ই ইচ্ছা থাকে যতটা সম্ভব দলের জন্য অবদান রাখার।’

সাকিবকে চারে খেলানো প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেন, ‘সাকিবের মতো একজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার আছে, যে কি না আমাদের একজন বাড়তি বোলার বা ব্যাটসম্যান খেলানোর রিল্যাক্স দিতে পারে। ২০/৩০ ওভার বোলিং করার পর সাবিকে যদি অনেক ওপরে খেলানো না হয়, তাহলে তার জন্যও কাজটা কঠিন। আমাদের ইচ্ছা আছে, সেরা ব্যাটসম্যানকে ওপরে খেলানোর; কিন্তু ওয়ার্কলোডও মাথায় রাখতে হবে। আমরা সেরা কম্বিনেশন সেট করার চেষ্টা করবো।’

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম