কেনিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে রাইলা ওদিঙ্গা ফলাফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয়ার পর এখন পর্যন্ত সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। বুধবার রাইলা ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সহিংসতা শুরু হয়।
Advertisement
বুধবারই রাজধানী নাইরোবিতে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত দু'জন বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে চুরি করার চেষ্টা করছিল বলে দাবি করেন নগর পুলিশের প্রধান জাফেথ কুমি।
ওই দিন সকালেই গুলিতে আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে নাইরোবি থেকে তিনশ কিলোমিটার পশ্চিমে কিসি জেলার সাউথ মুগিরাঙ্গোতে। আঞ্চলিক পুলিশের কমান্ডার লিওনার্দো কাতানা বার্তা সংস্থা এপি'কে জানান, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বের টানা নদী এলাকার একটি ভোট গণনা কেন্দ্রে ছুরিসহ পাঁচজন সশস্ত্র ব্যক্তি একজনের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই এক ব্যক্তি নিহত হন।
Advertisement
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ল্যারি কিয়েং বলেছেন, এদের মধ্যে দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেছে আমাদের পুলিশ। পলাতক অন্যদের পুলিশ খুঁজছে। রাজনৈতিক নাকি অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড, এখনো বিষয়টি জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাইলার অভিযোগের ব্যাপারে দেশটির নির্বাচন কমিশনের প্রধান ওয়াফুলা চেবুকাতি এর আগে বলেন, আইটি সিস্টেমের উপর তার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তার পরেও অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ১০ বছর আগের নির্বাচনে যে বিশ্রি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, রাইলার অভিযোগের ভিত্তিতে এবারেও হয়তো সেরকম কিছুই ঘটতে যাচ্ছে।
Advertisement
২০০৭ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক হাজার একশ জনের বেশি কেনিয়ার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ছয় লাখের অধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন।
সূত্র : জয় অনলাইন
কেএ/আরআইপি