বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ অংশের মহাসড়কে দীর্ঘ ৪৮ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতুতে রেশনিং করে গাড়ি চলার কারণে বুধবার সকাল থেকে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কজুড়ে এ অবস্থার কারণে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
Advertisement
সওজ অফিস খানাখন্দগুলো সংস্কার করার চেষ্টা করলেও টানা বৃষ্টি তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতুর সংস্কারের কাজ চলায় সেতুর দুই পাড়ে যানবাহন আটকা পড়ছে। এ কারণে মহাসড়কের বিশাল এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘলাইন ও যানজট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বাসের যাত্রী রোমানা খাতুন বলেন, এত যানজটের কারণে বাসে বসে থাকতে থাকতে অস্থির হয়ে যাচ্ছি। ছেলে-মেয়েরা কান্নাকাটি শুরু করেছে।
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী এস আর পরিবহনের চালক জুলমত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৭ ঘণ্টায় চান্দাইকোনায় পৌঁছেছি। রাস্তা খানাখন্দ ও নলকা সেতুর কারণে গাড়ি যেন নড়ছেইনা।
Advertisement
ঢাকাগামী বাসের যাত্রী আব্দুল মতিন বলেন, সকাল ৬টায় তাড়াশের মহিষলুটি থেকে বাসে উঠেছি। দুপুর ২টায় বাসটি হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এসে পৌঁছেছে। কখন যে ফাকা হবে তখন বাড়ি পৌঁছবো।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ অংশের হাটিকুমরুল থেকে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া সড়কের চান্দাইকোনা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এবং হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলঙ্গার দবিরগঞ্জ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটিার এবং হাটিকুমরুল-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের নলকা সেতু পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, সেতু অতিক্রম করার পর যানবাহনগুলো নলকা সেতুর পূর্বপাড়ে গিয়ে আটকে যাচ্ছে। এই রেশনিং পদ্ধতির কারণে সেতুর দুপাশে প্রচুর যানবাহন আটকা পড়ছে। ফলে যানবাহনগুলো দীর্ঘ লাইন ও ধীরগতিতে চলছে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, নলকা সেতু ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর সংস্কার চলছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। কাজ শেষ হতে আরও অন্তত ১০/১২ দিন সময় লাগবে। আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে এ কাজগুলোর তদারকি করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে যাবে।
Advertisement
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/এমএস