বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ না করা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ ভাইস চ্যান্সেলরের অপসারণ দাবিতে অবস্থান এবং বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিক্ষোভ শুরুর আগে একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় বিকট শব্দে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের সদর উপজেলার কর্নকাঠীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
শিক্ষার্থীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ না করে ভিসি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বপক্ষের শক্তিকে আঘাত করেছেন।
তারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা ভিসি প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হককে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে তার অপসারণের দাবি করেন। তার অপসারণ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
Advertisement
বরিশাল বিশ্বদ্যিালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক মো. শফিউল আলম জানান, ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বরিশালের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের কয়েকটি সংগঠন একই অভিযোগে গত সপ্তাহে ভিসি বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। তারা ভিসির অপসারণ আন্দোলন গতিশীল করার জন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ইকবালকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটিও গঠন করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি পদের বিপরীতে ৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রক্রিয়া এখনও চলমান।
সাইফ আমীন/এফএ/এমএস
Advertisement