চলতি বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতি আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বছরের শুরুতে রফতানি খাতে অর্জন প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এ সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
Advertisement
এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি সংস্থার নিয়মিত প্রতিবেদন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের হালনাগাদ পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির সদর দফতর থেকে জুলাই মাসের সম্পূরক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংস্থার ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরী অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতির আকার ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বাড়বে। বছরের শুরুতে এ অঞ্চলে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারণা দেয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। রফতানিতে বাড়তি চাহিদা আগামী বছরে অব্যাহত থাকার বিষয়ে সংশয় রয়েছে এডিবির। এ কারণে ২০১৮ সালে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তেমন বাড়ানো হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় সবচেয়ে ভালো থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এ অঞ্চলে চলতি বছর ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি উঠবে ৭ দশমিক ২০ শতাংশে। এর মধ্যে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারতে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।
Advertisement
এতে বলা হয়, সমাপ্ত অর্থবছর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এডিবির পূর্বাভাসের চাইতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে সরকারের প্রাথমিক হিসেবে উঠে এসেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাংলাদেশের কৃষিতে ধারণার চাইতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেবা খাতেও প্রত্যাশার চাইতে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এডিবি’র মুখ্য অর্থনীতিবিদ ইয়াসুইয়ুকি সাওয়াদা প্রতিবেদনটিতে বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই এশিয়ার রফতানি অনেকটাই জোরদার রয়েছে। পুরো বছর জুড়েই এ অবস্থা বিরাজ করবে বলে আশা করা যায়। তবে বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ অঞ্চলের অর্থনীতি সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
২০১৭ সালে পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধিও বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে এডিবি। বছরের শুরুতে পূর্ব এশিয়ায় ৫ দশমিক ৭০ প্রবৃদ্ধির ধারণা দেয়া হয়েছিল। এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে উন্নীত হবে বলে সংশোধনীতে ধারণা দেয়া হয়েছে। চীনের রফতানি ও অভ্যন্তরীণ ভোগ চাহিদা বাড়বে বলে মনে করে এডিবি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির এ দেশটিতে চলতি বছর ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আগামী বছর চীনে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অবস্থা চলতি বছরের শুরু থেকেই ভালো রয়েছে বলে মনে করে এডিবি। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ধারণা অনুযায়ী এবার ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। আগামী ২০১৮ সালে ওই অঞ্চলে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। তবে ব্রুনাইয়ে প্রত্যাশার চাইতে প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হবে বলে মনে করে এডিবি।
Advertisement
এমএ/ওআর/জেআইএম