তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি। এটা সাধারণ দণ্ডবিধি। এই ধারাটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। নারীর নিরাপত্তার জন্য, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য ধারাটি করা হয়েছে। এটা জামিন অযোগ্য অপরাধ তবে উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এটা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। এটা মানবাধিকারবিরোধী বলে আমি মনে করি না।
Advertisement
বুধবার জাতীয় সংসদে পীর ফজলুর রহমানের এ সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এই ধারাটি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়নি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজশনের ফলে গণমাধ্যমের বিশাল প্রসার ঘটেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডিজিটাল স্পেস তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, চরিত্র হনন করে, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির মতো অপরাধ করে। তখনই কেবল এই আইনের প্রয়োগ হয়। এটা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়েছে এ কথাটি ঠিক নয়।
মন্ত্রী বলেন, কেউ অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে চরিত্রহনন করে পোস্ট দিলে এ আইনের আওতায় আসবে। এ আইন নিয়ে ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। এই আইনে নিম্ন আদালতে জামিন হয় না, উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এরকম ৩০-এর অধিকের আইন আছে জামিন অযোগ্য। কিন্তু উচ্চ আদালতে গেলে বিচারকরা মনে করলে জামিন দিতে পারেন।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশে ১৮০০’র অধিক অনলাইন পত্রিকা আছে। পত্রিকা, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিকসহ দেশে কতগুলো গণমাধ্যম রয়েছে। প্রতিটি গণমাধ্যমে যদি ১০ জন করে সাংবাদিকও কাজ করেন তাহলে কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছে তা অনুমেয়। এর মধ্যে খুবই নগণ্য, দুই একজন ৫৭ ধারায় গ্রেফতার হয়েছেন। তাছাড়া ৫৭ ধারার মামলার প্রতিটি বিষয় আমরা দেখছি।
তিনি আরও বলেন, ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরেও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক নতুন একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। আমাদের আইনমন্ত্রী দেখবেন ৫৭ ধারা বহাল রাখার দরকার আছে কি না।
এইচএস/জেডএ/বিএ
Advertisement