পৃথিবীর শেষটা কিভাবে হবে সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত না। তবে মহাশূন্য থেকে ছুটে আসা গ্রহাণুর ধাক্কায় পৃথিবীর ধ্বংস নিয়ে যারা শঙ্কিত তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে নাসা।
Advertisement
নাসা বলছে, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা একটি ছোট গ্রহাণুর পথ ঘুরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। ডাবল অ্যাসটরয়েড রিডেকশন টেস্টের (ডার্ট) আওতায় এ পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
নাসা বলছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতিদিনই অনেক গ্রহাণু আছড়ে পড়ে, তবে সেগুলো আকারে ছোট হওয়ার কারণে ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগেই জ্বলে যায়।
তবে ডার্ট প্রকল্প মূলত হাতে নেয়া হয়েছে সেইসব গ্রহাণুর কথা মাথায় রেখে যেগুলো আকারে বড়, অর্থাৎ যেগুলো জ্বলে যাবে না বা যেগুলো পৃথিবীতে আঘাত করলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্পটি নাসা এবং মেরিল্যান্ডের জন হপকিন্স অ্যাপলায়েড ফিজিক্সের যৌথ উদ্যোগ।
Advertisement
এই প্রথম এ ধরনের কোনো প্রকল্প হাতে নিল নাসা। প্রকল্পে সফলতার জন্য প্রথমে ‘দিদিমস’ নামে নিরীহ একটি গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেবে নাসা।
২০২২ সালের অক্টোবরে ঐতিহাসিক এ পরীক্ষাটি চালাবে নাসা। সে সময় মহাশূন্য থেকে ‘দিদিমস’ ধেয়ে আসবে পৃথিবীর দিকে। অন্যদিকে পৃথিবী থেকে ফ্রিজের মতো আকারের একটি মহাকাশ যান পাঠাবে নাসা। দিদিমসের সঙ্গে যখন নাসার পাঠানো মহাকাশ যানের সংঘর্ষ হবে তখন মহাকাশ যানটির গতি থাকবে সেকেন্ডে ৩.৭ মাইল।
আর এ সংঘর্ষের ফলে গ্রহাণুটির গতিপথে সামান্য পরিবর্তন আসবে।
এনএফ/এমএস
Advertisement