ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ডবল ট্রিপ (স্পেশাল সার্ভিস) শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় নৌ-যান সংস্থা বিআইডব্লিউটিসিসহ বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানিগুলো।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ঢাকা নদীবন্দর থেকে বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানির নিয়মিত সার্ভিসের ৬টি লঞ্চের সঙ্গে স্পেশাল সার্ভিসের আরও ৩টিসহ মোট ৯টি লঞ্চ যাত্রী বোঝাই করে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
লঞ্চগুলো হলো এমভি পারাবত-১০ ও ১২, এমভি সুন্দরবন-৮ ও ১০, এমভি সুরভী-৭ ও ৯, এমভি কীর্তনখোলা-১, এমভি টিপু-৭ এবং এমভি তাসরিফ-৪।
একইভাবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে বিআইডব্লিউটিসির ডবল ট্রিপ (স্পেশাল সার্ভিস) শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর এমভি বাঙালি ও এমভি মধুমতি যাত্রী বোঝাই করে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিসির ডবল ট্রিপ চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Advertisement
এদিকে বেসরকারি মালিকাধীন লঞ্চগলোর মধ্যে ৭টি বিলাসবহুল লঞ্চ আগামীকাল ভোর রাতে বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রী নামিয়ে ডবল ট্রিপের লক্ষ্যে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
শুধু এমভি পারাবত-১০ নামে একটি লঞ্চ নিয়মিত সার্ভিসে বরিশাল নদীবন্দরে অবস্থান করে আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা থেকে বরিশাল আসা ৫টি লঞ্চের মধ্যে একটি এমভি সুন্দরবন-১০ ডবল ট্রিপের উদ্দেশে বরিশাল ত্যাগ করেছে। অপর ৪টি লঞ্চ এমভি ফারহান-৮, এমভি কীর্তনখোলা-২, এমভি সুরভী-৮ এবং এমভি পারাবত-৯ সন্ধ্যার পর বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সন্ধ্যায় ঢাকা প্রান্তে অবস্থানরত এমভি পারাবত-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম খান জানান, অন্যান্য বছরের এই দিনে মানুষের ভিড় দেখা যায়, আজ বৃহস্পতিবার তেমন দেখা যাচ্ছে না। এর কারণে হিসেবে তিনি বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেননি। এ কারণে তুলনামূলক ভিড় কম হয়েছে।
Advertisement
লঞ্চে কেবিন যাত্রীর চাপ থাকলেও ডেকে যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে ঈদের আগে আগামী কয়েকদিন যাত্রী চাপ বাড়তে থাকবে বলে তিনি জানান।
লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ২১ জুন দিবাগর রাত থেকেই মূলত নৌ রুটে ডবল ট্রিপ শুরু হয়েছে। ঈদের আগে ঢাকা থেকে এবং ঈদের পর এক সপ্তাহ বরিশালপ্রান্ত থেকে ডবল ট্রিপ (স্পেশাল সার্ভিস) অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল-ঢাকা রুটে ২০টিসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলা, হুলারহাট, বাগেরহাট এবং মাদারীপুর রুটে শতাধিক নৌযানে ঈদের যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে বলে জানান রিন্টু।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চল রুটে সপ্তাহে ছয়দিন সরকারি জাহাজ চলাচল করত। তবে ঈদে ঘরমুখো মানুষের অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে ডবল ট্রিপ শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর এমভি বাঙালি ও এমভি মধুমতি যাত্রী বোঝাই করে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি জানান, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ঢাকা থেকে দুটি করে জাহাজ ছেড়ে আসবে। একইভাবে ঈদের পরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে দু’টি করে জাহাজ ছেড়ে যাবে।
সাইফ আমীন/বিএ