জাতীয়

এএসপি মিজান নিঃসন্দেহে হত্যাকাণ্ডের শিকার

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে নিঃসন্দেহে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা, কেন হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ঈদ মার্কেট পরিদর্শন করেন আইজিপি। সেখানে রমজান ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, এএসপি মিজান রাতে সেহরি খেয়ে সকালে একা বাসা থেকে বের হন। এরপর সম্ভবত তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও আমরা নিশ্চিত নই, তদন্ত চলছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এটা নিশ্চিত বলা যায়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তার গলায় দাগ দেখা গেছে। তবে কে বা কারা এবং কেন হত্যা করেছে তা তদন্ত শেষে বলা সম্ভব।

Advertisement

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত কমিশনার, গুলশান বিভাগের ডিসি, এডিসি ও ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর থানাধীন বিরুলিয়া ব্রিজের পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল করার সময় নিহতের গলায় গার্মেন্টসের ঝুট কাপড় পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় বুধবার দুপুরে নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

মিজানুরের মরদেহের ময়নাতদন্তে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. প্রদীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের চামড়ার নিচে জমাট রক্ত দেখা গেছে। গলায় দাগ রয়েছে।

Advertisement

‘আমরা লাশের ভিসেরা সংরক্ষণ করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে’ বলেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান হাইওয়ে পুলিশ সাভার এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। তার বাসা উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে। সকাল ৬টায় ডিউটিতে বের হন তিনি। এরপর আর যোগাযোগ ছিল না বাসার সঙ্গে।

জেইউ/এমএআর/জেআইএম