ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফ্রান্সের সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল।
Advertisement
ফ্রান্সের সংসদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে এই নির্বাচনে প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ আসনই সম্ভবত যাবে ম্যাক্রোঁর দলে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ৫৭৭টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪০০ আসন পাবে ম্যাক্রোঁর দল। ম্যাক্রোঁ মাত্র বছর খানেক আগেই তার রাজনৈতিক দলটি গঠন করেছিলেন।
এই নির্বাচনে ফ্রান্সের সোস্যালিস্টরা ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। দলটির হয়ে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বেনোয়া হ্যামন এবং এই পার্টির নেতা জঁ-ক্রিস্টোফ কাম্পেডেলিস দুজনেই তাদের আসন হারাতে যাচ্ছেন।
Advertisement
এছাড়া ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টও খুব আশাব্যাঞ্জক কোনো সাফল্য পায়নি এই নির্বাচনে। ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মেরিন লে পেন গত মাসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর কাছে পরাজিত হয়।
তবে এই নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ খুবই কম। মাত্র ৫০ শতাংশের মতো ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটারদের এই সংখ্যাটি রেকর্ড সংখ্যক কম। দ্বিতীয় ধাপের ভোট আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দফা ভোটে সরাসরি জিততে হলে একজন প্রার্থীকে একটি সংসদীয় আসনের মোট ভোটের অর্ধেকের বেশি পেতে হবে; সেসব ভোটের মধ্যে নিবন্ধিত ভোটারদের এক চতুর্থাংশের ভোটও থাকতে হবে।
একটি সংসদীয় আসনের কোনো প্রার্থী যদি প্রথম দফার ভোটে ৫০ শতাংশ জনসমর্থন না পায়, তখন সেখানে দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। এরপর বিজয়ীদের নিয়ে পার্লামেন্ট গঠিত হবে।
Advertisement
প্যারিসের উত্তরাংশে নিজের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার সময় ম্যাক্রোঁ সরকারের এক মন্ত্রী বলেছিলেন, পরবর্তী পাঁচ বছর কাজ করতে এবং ফ্রান্সজুড়ে সংস্কার করতে তাদের এ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার।
নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রতিশ্রুত সংস্কার করতে পারবে বলে দাবি করেছে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল।
এদিকে, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ম্যাক্রোঁর দলের সাফল্যে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মেরকেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবার্ট এক টুইটে বলেছেন, এটা ছিল ফ্রান্সের সংস্কারের জন্য ভোট।
৩৯ বছর বয়সী সাবেক ব্যাংকার এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত মাসে বিপুল ভোটে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
টিটিএন/পিআর