তীব্র গরমে প্রকৃতি যখন হাঁসফাঁস করে তখন একটুখানি প্রশান্তির খোঁজে আমরা মরিয়া হয়ে উঠি। চাই সারাদিন পানির সংস্পর্শে কাটাতে। আর এই তীব্র গরমের দহন থেকে মুক্তি দিতে পারে একটি পরিপূর্ণ গোসল। তাইতো বাসায় ফিরেই আমরা চাই ঝটপট গোসলে গিয়ে গরম থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু সেই গোসলকে আরো সতেজ করে তুলতে করতে পারেন কিছু কাজ। আর তাহলেই মিলবে গরম থেকে মুক্তি।
Advertisement
গোসলের পানি আগে থেকে ধরে রাখুন বালতিতে। এই গরমে সকালের পরেই ট্যাঙ্কির পানি অনেকটা গরম হয়ে ওঠে। সেই পানি দিয়ে গোসল করলে প্রশান্তি দূরে থাক, ন্যূনতম আরামও মিলবে না। পানি আরও একটু ঠাণ্ডা করতে চাইলে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েক টুকরো বরফ।
বাইরে থেকে ফিরেই গোসল করবেন না। তাতে আরাম তো মিলবেই না, উল্টো ঠান্ডা- গরমে অসুখ হয়ে যেতে পারে। গোসলের সময় মেনথল সাবান বা জীবাণু নাশক কোনও সাবান ব্যবহার করুন বিউটি সোপের পরিবর্তে।
অনেকে ভাবেন যে ভেজা চুলে থাকলে বুঝি গোসলের রেশটা স্থায়ী হবে। এটি আসলে ভুল ধারনা। গোসল সেরে অবশ্যই চুল শুকিয়ে নিন ভালো করে। গোসল শেষে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে দাঁড়িয়ে থাকুন। শরীর ভালো করে শুকালে তবেই লোশন বা ক্রিম লাগান।
Advertisement
গোসলের পর ক্রিম বা লোশনের বদলে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে। তাদের ত্বক খুব তৈলাক্ত তাদের কিছুই ব্যবহারের দরকার নেই। গোসলের পানিতে মিশিয়ে নিতে পারেন কর্পূর। ঠান্ডা মিলবে। পানিতে মিশাতে পারেন একটু গোলাপ পানি আর নিম পাতাও। শরীরে সৌরভ ছড়িয়ে তো যাবেই, সাথে দূরে থাকবে জীবাণু। আর হবে না চর্মরোগ।
চুল বেঁধে বা খোঁপা করে গোসল করেন অনেকে। এটি ঠিক নয়। চুল ভালো করে বাঁধন খুলে আচড়ে নিন। তাতে পানি ভালো করে চুলের গোঁড়ায় ভালো করে পানি যাবে। ভালো করে পানি ঢেলে গোসল সারুন। মাথায় আর শরীরে সমানভাবে পানি দিন, যাতে শরীরের বাড়তি তাপমাত্রা ধুয়ে যায় পানির সাথে।
এইচএন/পিআর
Advertisement