প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নবম ওয়েজ বোর্ড করে দিয়েছি, পত্রিকার মালিকদের কারণে তা ঘোষণা করা যাচ্ছে না। মালিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দিলেই ওয়েজ বোর্ড চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করা যেতে পারে।’ ওয়েজ বোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে অনলাইনের গুরুত্বও বাড়ছে। এটি কখনও ভাল, আবার কখনও মন্দ। কখনও কখনও অনলাইনে প্রকাশিত ভুল সংবাদ সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করছে।’ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু নিজেও সাংবাদিকতা করেছেন। তাই নিজেকে সাংবাদিক পরিবারের সদস্য মনে করে সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণে সর্বাত্মক সহায়তা করছেন। সংবাদপত্রকে সেবা ও শিল্পখাত ঘোষণার পাশাপাশি জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন গঠন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা প্রয়োজন। নীতিহীন সাংবাদিকতা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর।’ তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা করেন ভাল কথা কিন্তু পাশাপাশি সেক্টর ওয়াইজ কি কি উন্নতি হচ্ছে তা তুলে ধরুন।’ ইফতারের পরে মতবিনিময় সভায় বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুলআহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনতে হলে ৭৪’এর সংবাদপত্র আইন পুনর্বহাল করতে হবে। কারণ বর্তমানে ওয়েজবোর্ডে শুধু সংবাদপত্রের উল্লেখ রয়েছে।এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন।এমইউ/এসআর
Advertisement