জাতীয়

দারিদ্র্যের হার কমলেও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে

দেশে দারিদ্রের হার কমলেও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। যা দারিদ্র্য বিমোচনের সফলতাকে ম্লান করছে। দক্ষিণ এশীয় দারিদ্র্য অবস্থা বিষয়ক রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এটি প্রকাশ করা হয়। রিপোর্টে ২০১০ সালে ৫৫৯টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও ২০১৫ সালে ৭৮৯টি ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়। 

সাউথ এশিয়া অ্যালায়েন্স ফর প্রভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি), ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) উদ্যোগে আয়োজিত এই পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর।

অনুষ্ঠানে মূল রিপোর্টটি উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর। আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার, আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মেদ খান, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মুশতাক আলী, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, নারী নেত্রী প্রতিমা পাল মজুমদার, বিএনপিএস’র শাহনাজ সুমী, শরিফুজ্জামান শরিফ প্রমুখ।

Advertisement

মাহফুজ কবীর বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশেও সহিংসতা বেড়েছে। অথচ দারিদ্র্যের সঙ্গে সহিংসতা কমার কথা ছিল।

ধনীদের হাতে সম্পদ বাড়ছে। দৃশ্যমান বস্তির সংখ্যা কমলেও বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। যেখানে মানুষকে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সার্বিক ক্ষেত্রে অসমতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। ই-গভর্নেন্স এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারকে সে বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। 

তানজিমউদ্দিন খান বলেন, সংখ্যাগত উন্নয়ন বাড়লেও গুণগত উন্নয়ন বাড়ছে না। তাই উন্ননের ধারণা পরিবর্তন করতে হবে।

Advertisement

রোকেয়া কবীর বলেন, সরকার নারী নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিলেও রিপোর্টে তার প্রতিফলন নেই। তবে গার্মেন্ট খাতে সুফল পাওয়া গেছে। এ খাতে নির্যাতন ও হয়রানির সংখ্যা কমেছে। সহিংসতা কমাতে নারীর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

বাপার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন, বনের গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। মন্ত্রী-এমপিরা সেখান থেকে মাসোহারা নিচ্ছে। কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। পানিতে দূষণ বাড়ায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিচ্ছে। ফলে দারিদ্র্য কমলেও জনজীবনে সংকট বাড়ছে।

এইচএস/জেএইচ/এমএস