টাকার লোভে তিন মাসের শিশু শিনকে অপহরণ করে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুমন। অপহরণের পর শিশুর পরিবারের কাছে দাবি করে দুই লাখ টাকা। বিষয়টি পুলিশ-র্যাবকে জানালে শিশুটিকে আর পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হবে না বলেও হুমকি দেয় সুমন।
Advertisement
কিন্তু শিশুটির বাবা কোনো উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর র্যাব অপহরণকারীকে ধরতে ফাঁদ পাতে।
দাবি করা মুক্তিপণের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শুক্রবার অপহরণকারীকে ধরতে সক্ষম হন র্যাব সদস্যরা। ঘটনাটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের।
র্যাব-১০ এর একটি দল শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের গোলাম বাজারের কাঁচাবাজার থেকে অপহরণকারী সুমনকে গ্রেফতার করে। এ সময় শিশু শিনকেও উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর।
তিনি বলেন, গত ১৮ মে দুপুর ১২টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার বাসিন্দা মো. শাখাওয়াত হাসেন (৩১) র্যাব-১০-এর কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করে জানান, সুমন নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তার শিশুসন্তানকে অপহরণ করেছে।
জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর জানান, সুমন ফ্রিজ-টিভি মেরামতের কাজ করে। সাত থেকে আট মাস আগে তার সঙ্গে অপহৃত শিশুর বাবার পরিচয় হয়। গত ১৭ মে সন্ধ্যায় সুমন অভিযোগকারীর বাসায় যান। শিশুর মা রিতু ইসলাম মিতু তাকে বসতে বলে চা করতে যান। এ সুযোগে শিশু শিনকে নিয়ে দরজার বাইরের ছিটকিনি লাগিয়ে পালিয়ে যায় সুমন। মা ফিরে দেখেন শিশু শিন নেই। দরজাও বাইরে থেকে লাগানো। এ খবর পেয়ে শিশুর বাবা দ্রুত বাসায় ফেরেন।
ঘণ্টাখানেক পর সুমন ফোন করে বলে, ‘আমি তোর মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছি, তুই যদি তোর মেয়েকে ফেরত পেতে চাস তবে দুই লাখ টাকা রেডি রাখ। যখন বলব নিয়ে আসবি। র্যাব-পুলিশ কাউকে জানালে তোর মেয়েকে পাবি না বলে সুমন ফোন কেটে দেয়। রাতেও ফোন করে একই কথা বলে সুমন। এরপর সারারাত তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
Advertisement
পরদিন সুমন আবার ফোন করে শিশুর বাবাকে হুমকি দেয়। সুমন বলে, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তার মেয়েকে হারাতে হবে। এরপর শিশুটির বাবা আইনগত সহায়তা চেয়ে র্যা বের কাছে অভিযোগ করেন।
জেইউ/জেডএ/এমএআর/এমএস