আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে এমন কথাই জানিয়েছিলেন দলটির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নয় মাস পর ফের একই কথা জানান তিনি।
Advertisement
মন্ত্রিসভায় নতুন কারা আসতে পারেন অথবা কবে নাগাদ রদবদল হতে পারে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলেননি তিনি।
তবে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, মন্ত্রিসভায় রদবদলের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নতুন মুখ আসতে পারে। পাশাপাশি রাজনীতিতে পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করা হতে পারে।
সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান, দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমানও রয়েছেন গুডবুকে।
Advertisement
তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিজের পদ ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন তিনি।
আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এমন আভাস দিচ্ছে সূত্রগুলো। আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও আলোচনায় রয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এমন আলোচনায় রয়েছেন নওগাঁর সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য ডা. হাবীবে মিল্লাত, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাজাহান কামাল।
তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রিপরিষদে পরিবর্তন আসবে। বহুদিন হলো মন্ত্রিপরিষদে রদবদল হয় না। তবে কারা আসবেন, এটা শুধু প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্য কারা হবেন, তা এখন বলা সম্ভব নয়। আকাশে চাঁদ উঠলে সবাই দেখবেন।
Advertisement
এইউএ/ওআর/আরআইপি