জাতীয়

সৈকতের ঢেউ ফেসবুকেও

যে ঢেউয়ে পা ভেজালেন, সে ঢেউ মিলে গেছে গভীর সমুদ্রবক্ষে। এরপর জোয়ার-ভাটাও হয়েছে একাধিকবার। সমুদ্রতটে পায়ের ছাপও মিশে গেছে বালুকণায়। কিন্তু প্রিয় নেত্রীর এই সমুদ্র বিলাস নিয়ে যে ঢেউ বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে, তা কি অত সহজে মিলে যায়।

Advertisement

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রধানমন্ত্রীর খালি পায়ে হাঁটার ছবি রীতিমত ভাইরাল এখন। দলের অনুসারীরা প্রিয় নেত্রীর এই ছবি দিয়ে প্রোফাইলও সাজিয়েছেন। অনেকেই পোস্ট দিয়ে আবেগ-ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন ছবি ভাইরাল হতে দেখা গেছে।

শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ায় পাথুরে সৈকতখ্যাত ইনানী সমুদ্র উপকূলে দুপুরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার লম্বা ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ’ সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘বেওয়াচ রিসোর্ট’ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

বক্তব্য শেষেই নেমে পড়েন সমুদ্র সৈকতে। খালি পা। হালকা আকাশি রংয়ের শাড়ির কুঁচি (ভাজ) হাতে গুঁজে হাঁটলেন প্রায় ১৫ মিনিট সময় নিয়ে। এ সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ পাচ্ছিল প্রধানমন্ত্রীর চোখে-মুখে। হয়ত সমুদ্রের বিশালতায় ফিরে গিয়েছিলেন শৈশব স্মৃতিতে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, ‘বাবা (বঙ্গবন্ধু) সমুদ্র খুব ভালোবাসতেন। সমুদ্র সৈকত আমাদেরকেও খুব কাছে টানত। ১৯৬২ ও ১৯৬৪ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে  বেড়াতে এসেছিলাম এই তীরে। এখানে বাবার অনেক স্মৃতি আছে। তাই এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে সৈকতকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে।’

সমুদ্র তীরে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ানোর ছবি প্রকাশ হওয়ার পরপরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র বিলাস নিয়ে খবর প্রচার করে মূলধারার গণমাধ্যমগুলোও।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক দেয়ালে প্রধানমন্ত্রীর সমুদ্র তীরের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘পাকিস্তান আমলে ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন চলাকালীন সময়ে ইনানীর অরণ্যঘেরা চেনছড়ি গ্রামে বেশ কিছু দিন ছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কত ত্যাগের বিনিময়ে এই মুক্ত বাতাস! যে দেশে এই রকম সৈকত এবং জননেত্রী আছে সে দেশের মানুষ দুঃখী থাকতে পারে না।’

Advertisement

এএসএস/এসআর