জাতীয়

এসডিজি অর্জনের প্রধান অন্তরায় জঙ্গিবাদ

২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন বড় চ্যালেঞ্জ।  তবে এসডিজি অর্জনের প্রধান অন্তরায় জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানীর উদ্যোগে ‘এসডিজি অর্জনের প্রধান অন্তরায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

Advertisement

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর দুর্নীতির কারণে মোট জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৪৫ ভাগ ক্ষতি হচ্ছে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও  সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১ দশমিক ৫ ভাগ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম।

হলি আর্টিজান, আতিয়া মহলের ঘটনা, জাপানি নাগরিক হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনা ও অতীতের বাংলা ভাইয়ের উত্থান বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।

তারা বলেন, যদি দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যায় তাহলে মোট জিডিপির ১ দশমিক ৫০ ভাগ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হওয়া ঠেকানো সম্ভব হবে। পারিবারিক কলহ, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ হলে মোট জিডিপির আরও ২ ভাগ অর্জন সম্ভব হবে।

Advertisement

জঙ্গিবাদ নির্মূল করা গেলে আরও বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ পাওয়া, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব। ফলে ২০৩০ সালের পূর্বেই এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন করা সম্ভব।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, এনডিএফর আহ্বায়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রয়াত ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের সহধর্মিনী মনিকা বানু, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানীর সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম শেখ আনোয়ারুল হকের স্ত্রী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, তৃণমূল ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী, জাগপার চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন আহাম্মেদ বাবলু প্রমুখ।

এইচএস/এমআরএম/এএইচ/আরআইপি

Advertisement